ভবিষ্যতের কথা ভাবুন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হন: প্রধানমন্ত্রী
সাশ্রয়ী-মিতব্যয়ী হতে হবে, গণমাধ্যমে এ নিয়ে অনেক কথাই হচ্ছে, হবে। সমালোচনা করাই বিরোধী দলের কাজ। তাই বলে আমরা সঠিক পথে হাঁটবো না, তা তো নয়। সঠিক পথে চলার সেই আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের। কে কী বললো, সেটিতে নজর দিয়ে হতাশ বা বিভ্রান্ত না হয়ে পরিস্থিতি বুঝে মানিয়ে নিতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৩ জুলাই) জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন ও বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ২০২২ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জ্বালানির দাম বাড়ায় সারাবিশ্বেই দুর্বিষহ অবস্থা। উন্নত দেশগুলোর অবস্থা করুণ। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কথা তারাও বলছে। কারণ এ সময় তৃণমূলের উন্নয়নে জনমুখী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায় সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকার গঠনের সুযোগ পেয়ে বাবার মতো আমিও ঘোষণা দিয়েছিলাম যে, আমরা জনগণের সেবক। জনগণের সেবা করাটাই আমাদের কাজ। ক্ষমতা ভোগের বস্তু নয়। কতটুকু দেশের জন্য করতে পারলাম, দেশের মানুষকে দিতে পারলাম, সেটাই বিবেচ্য বিষয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের সেবা করাটাই সরকারের কাজ। দেশের জন্য কতটুকু করতে পারলাম। দেশের মানুষকে দিতে পারলাম, সেটাই আমাদের কাছে মুখ্য বিষয়। আমাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থাটা এমনভাবে গড়ে উঠুক যেটা গণমুখি হবে সেই চেষ্টা করেছি। জনগণের জন্য কাজ করবে এবং সিভিল সার্ভিসের দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রিফর্ম কমিটি গঠন করি। আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে নতুনভাবে সাজিয়ে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে চায়।
তিনি আরও বলেন, একটা রাষ্ট্রকে যদি উন্নত করতে হয় তাহলে সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য স্থির করতে হয়। একটা দিকনির্দেশনা থাকতে হয়। দর্শন থাকতে হয় এবং তার জন্য একটা কর্মপন্থা প্রণয়ন এবং আন্তরিকতার সাথে তা বাস্তবায়ন করতে হয়।
উল্লেখ্য, পুরস্কার হিসেবে একটি স্বর্ণপদক (২১ ক্যারেট মানের ১৫ গ্রাম ওজনের) এবং রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম সংবলিত সম্মাননাপত্র দেয়া হয়।