আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ডেপুটি স্পিকার

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিজ বাড়ির উঠানে হয় তৃতীয় জানাজা । আজ সোমবার (২৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। বাবা, মা ও দুই ছেলের পাশেই তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। 

ফজলে রাব্বী মিয়ার শেষ জানাজায় প্রতিবেশী ও আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা তার রাজনৈতিক সহচর, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ শত শত মুসল্লি অংশ নেন। জানাজায় ইমামতি করেন গটিয়া মসজিদের পেশ ইমাম জাহিদুল ইসলাম মোজাহেদী। 

এর আগে সকাল পৌনে ৯টায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি ফ্লাইটে ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ দেশে পৌঁছায়। এরপর জাতীয় ঈদগাহ মাঠে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে হেলিকপ্টার যোগে মরদেহ নেওয়া হয় গাইবান্ধার সাঘাটায়। দুপুর দেড়টার দিকে হেলিকপ্টারটি সাঘাটার বোনারপাড়ার হেলেঞ্চা গ্রামের ভেলাকোপা বিলের একটি ফাঁকা মাঠে  ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ নিয়ে অবতরণ করে। এরপর তার মরদেহ স্বজন ও নেতা-কর্মীরা ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে আসেন। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিভিন্ন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার হাজারো মানুষ অংশ নেন। 

গেলো শুক্রবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত ২টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের মাইন্ট সাইন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। বার্ধক্যজনিতসহ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ৯ মাস ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। 

১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ফজলে রাব্বী মিয়া। পেশায় আইনজীবী ফজলে রাব্বী মিয়া গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের টানা সাতবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় সংসদের পর পর দুইবারের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন। 

 

বি আ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন