ইসির সতর্কতামূলক চিঠি পেয়ে যা বললেন রেলমন্ত্রী পুত্র
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রেলমন্ত্রীর ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুলকে সতর্কতামূলক চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গেলো ২৮ এপ্রিল পাংশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ফরিদ হাসান ওদুদ নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ এপ্রিল বিকালে রিটার্নিং অফিসার মো. অলিউল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই তথ্য পাওয়া যায়।
ইসির নোটিশ পাওয়ার পর বুধবার (১ মে) আশিক মাহমুদ মিতুল সাংবাদিকদের বলেন, আমি সোমবার জেলা নির্বাচন কমিশন থেকে একটি সতর্কতামূলক চিঠি পেয়েছি। আসলে আমার বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ নিয়ে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে ইসিতে অভিযোগ করা হয়েছে। মূলত নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োর মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে আমি জেলা আওয়ামী লীগের নেতা হিসাবে তার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছি। পাংশা জজ হাইস্কুল মাঠে প্রায় ১৫ হাজার নেতাকর্মীদের সামনে আমি প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপনকারী মো. ফরিদ হাসান ওদুদ মন্ডল বিগত সময়ে পাংশা উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি করে বহিষ্কার হয়েছিলেন। বিগত দিনে ওদুদ মন্ডলের সেসব অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির বিষয়গুলো আমি তুলে ধরেছি। মন্ডল পরিবারের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে আমি সেসব বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য দিয়েছি। এ পর্যন্ত পাংশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। তিনি বিচ্ছিন্নভাবে অভিযোগ তুলেছেন। তবে ইসির সতর্কতা আমি ভালোভাবে দেখেছি। আমি বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করছি।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরিদ হাসান ওদুদ বলেন, রেলমন্ত্রীর পুত্র মিতুল হাকিম বড় মাপের নেতা। তার বক্তব্যের পর মাঠে আমার নেতাকর্মী নামতে চাচ্ছে না। পরে আমি নির্বাচন কমিশনে একটি অভিযোগ দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন তাকে সতর্কতামূলক চিঠি দিয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিসার অলিউল ইসলাম বলেন, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরিদ হাসান ওদুদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক মাহমুদ মিতুলকে সতর্ক করা হয়েছে।
কেএস/