আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

উহানে লকডাউনে ১০ লাখ মানুষ

করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছিলো চীনের উহানেই। এই মহামারীর দীর্ঘ দুই বছরেরে বেশি সময় ধরে চলা এখনো শেষ হয়নি। সেই উহানে আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউন আরোপ করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। এতে করে ফের কঠোর বিধিনিষেধে পড়েছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ।

আজ  বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের উহানের জিয়াংজিয়া জেলায় চারজন করোনা রোগী শনাক্তের পর সেখানকার বাসিন্দাদের তিন দিনের জন্য তাদের বাড়িতে বা আঙিনার ভেতরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। করোনা শনাক্ত হওয়া ওই চারজনই উপসর্গবিহীন।

করোনা মহামারির শুরু থেকে ‘জিরো কোভিড’ পলিসি অবলম্বন করে আসছে চীন। এই নীতির অধীনে কোনো এলাকায় একজন করোনায় আক্রান্ত হলেও গণভাবে সবার নমুনা পরীক্ষা, কঠোর আইসোলেশন নিয়ম, স্থানীয়ভাবে লকডাউন আরোপসহ বিভিন্ন কৌশল অনুসরণ করে দেশটি।

আর এর ফলে বিশ্বের অন্য অনেক দেশের তুলনায় চীনে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অনেক কম মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু চীনের এই ‘জিরো কোভিড’ পলিসি ক্রমবর্ধমান বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছে। কারণ দেশটির মানুষ এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বিধিনিষেধের চাপের ক্ষতির মুখে পড়ছে।

বিবিসি বলছে, নিয়মিত পরীক্ষায় চীনের উহানে দু’দিন আগে দু’টি উপসর্গবিহীন রোগী শনাক্ত হয়। এরপর কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে আরও দু’জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আর এরপরই এক কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার শহরের একটি অংশে লকডাউন জারি করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। প্রথমে বলা হয়েছিল, উহান শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত হুনান সি-ফুড মার্কেট থেকেই প্রথম করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটে।

মেহা

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন