আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বিশ্ব বাঘ দিবস আজ

আজ বিশ্ব বাঘ দিবস। ‘বাঘ আমার অহংকার, রক্ষার দায়িত্ব সবার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। বাঘের অন্যতম আবাসস্থল সুন্দরবন সংলগ্ন জেলা বাগেরহাটেও দিবসটি উপলক্ষে বন বিভাগ নানা আয়োজন করেছে।

এখনো বাঘ টিকে আছে এমন ১৩টি দেশে ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শোভাযাত্রসহ নানা আয়োজনে পালেত হচ্ছে দিবসটি।  

২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্টপিটার্সবার্গ শহরে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম বিশ্ব বাঘ সম্মেলন। এই সম্মেলনে ২০২২ সালের মধ্যে বিশ্বে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

বাঘ টিকে থাকা ১৩টি দেশ হচ্ছে: বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ভুটান, নেপাল, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম ও রাশিয়া।

জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৯৮৭ সালে অতি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী হিসেবে বাঘ কিংবা বাঘের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যবসা নিষিদ্ধ করা হয়।

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ২০০৪ সাল থেকে বাঘ শুমারি পরিচালিত হয়। ২০০৪ সালে পায়ের ছাপ নিয়ে তৈরি করা শুমারি অনুযায়ী, ৬০০০ বর্গ কিলোমিটারের সুন্দরবনের ৪৪০ টি বাঘ রয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করা হয়। ৪৪০টি বাঘের মধ্যে পুরুষ ১২১টি, স্ত্রী ২৯৮টি এবং ২১টি শাবক রয়েছে। এর মধ্যে সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগে ২৭১টি এবং পূর্ব বন বিভাগে ১৬৯টি বাঘ রয়েছে।

২০১৩ সাল পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে প্রায় ৪০০০ বাঘ আছে বলে ধারণা করা হয়৷

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাঘ বাঁচাতে নানা উদ্যোগ নিলেও সুন্দরবনে বাঘের মৃত্যু আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে গেছে। ১৯৮০ থেকে ২০১২ সালের জুলাই পর্যন্ত গত ৩২ বছরে সুন্দরবন ও সংলগ্ন এলাকায় শিকারিদের হানা, গ্রামবাসীর পিটুনি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ৬৭টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।

ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে ২০১৪-১৫ সালে বন অধিদপ্তর পরিচালিত জরিপে সুন্দরবনে ১০৬টি বাঘের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর ২০১৭-১৮ সালের জরিপে ১১৪টি বাঘের সন্ধান পায় বন অধিদপ্তর

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন