ধর্মঘট চলছে ওসমানী মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের
দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মতো ধর্মঘট করছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
আজ বুধবার (৩ আগস্ট) সকালেও তারা আন্দোলন করেন। এর আগে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিকেল ৫টায় পুনরায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
আহত দুই ছাত্র হলেন- ওসমানী মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র নাইমুর রহমান ইমন (২৪) ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রুদ্র নাথ (২২)।
বৈঠকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। হামলাকারী সবাইকে গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে বৈঠক থেকে চলে আসেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা।
এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, ক্লাস, পরীক্ষাও বর্জন করেছেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। তবে ইন্টার্নরা ধর্মঘট ডাকলেও সেবা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
এ বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. সাফওয়ান গণমাধ্যমকে বলেন, সব আসামি গ্রেপ্তার এবং শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় দৃশ্যমান উদ্যোগ না নেয়া পর্যন্ত আমরা ধর্মঘট চালিয়ে যাব। কর্মবিরতি ছাড়াও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, গেলো সোমবার (১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হন মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থী রুদ্র নাথ ও নাইমুর রহমান ইমন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে লাঞ্ছিত ও দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুটি মামলা হয়েছে। কলেজ প্রশাসন ও হাসপাতাল প্রশাসনের দায়ের করা দুই মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
দুটি মামলায়ই প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে মো. আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তিকে। তিনি সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক সিটি কাউন্সিলর আব্দুল খালিকের ভাতিজা। ওসমানী হাসপাতালের পাশেই তাদের বাসা। আব্দুল্লাহ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও দলে তার কোনো পদ নেই। মহানগর ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তার ছবি ফেসবুকে ঘুরতে দেখা গেছে।
নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় মঙ্গলবার কতোয়ালি থানায় মামলা করেন হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার বাদি হয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষের সচিব মো. মাহমুদুর রশিদ। এ মামলায়ও প্রধান আসামি মো. আব্দুল্লাহ। অপর আসামিরা হলেন- ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিদ হাসান রাব্বি, এহসান আহম্মদ, মামুন, সাজন, সুজন ও সামি।
কলেজ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আব্দুল্লাহর নেতৃত্বেই ইন্টার্ন চিকিৎসককে লাঞ্ছিত ও মঙ্গলবার দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করা হয়।
এসি