কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা , কমেছে পিয়াজের দাম
দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে কাঁচা মরিচের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে জেলা ৯টি উপজেলার হাটবাজার গুলোতে মরিচের দাম দফা দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে। কাঁচা মরিচের আকাশ চুম্বি দাম বাড়ায় এ অঞ্চলের নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষদের পক্ষে কাঁচা মরিচ কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যেন কাঁচা মরিচ এখন সোনার হরিণে পরিনিত হয়েছে। এদিকে পিয়াজের দাম স্বাভাবিক থাকায় স্বস্তিতে ক্রেতারা।
জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক দুই সপ্তাহে আগেও ফুলবাড়ী,নাগেশ্বরী বালারহাট বাজারসহ জেলার অধিকাংশ হাট-বাজার গুলোতে কেজি কাঁচা মরিচ ১২০-১৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক দিন থেকে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২০০-২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার মনিটরিংয়ের জন্য প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন ক্রেতারা।
ফুলবাড়ী বাজারের মের্সাস বাবা ভান্ডারের মালিক সুত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কাঁচা মরিচের কেজি ২৪০ টাকা,শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ টাকা, আলু কেজি ১৬,২২,২৮ টাকা পিয়াজের কেজি ২৬ টাকা, রসুনের কেজি ৫৫ টাকা, আদার কেজি ৯০ টাকা বলে জানিয়েছেন।
ফুলবাড়ী উপজেলার কুরুষাফেরুষা গ্রামের ভ্যানচালক হাক্কু মিয়া ও বাবলু চন্দ্র রায় জানান, বালারহাট বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে গিয়ে দাম বেশি হওয়ায় কিনতে পারেনি। পরে তারা বিকল্প হিসেবে শুকনো মরিচ কিনেছে।
নাগেশ্বরী উপজেলার নিখিল চন্দ্র রায় ও গোলাম মওলা বলেন, নাগেশ্বরী বাজারে কাঁচামরিচের যথেষ্ট আমদানি রয়েছে। কিন্তু তারপরও ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার আশায় মাত্রাতিরিক্ত দামে মরিচ বিক্রি করছেন।
বালারহাট বাজারের সবজি বিক্রেতা লতু মিয়া ও হেলাল মিয়া জানান, আমদানী কম তাই মরিচের দাম বেড়েছে। আমরা অতিরিক্ত দাম নিচ্ছি না। আমরা কিনতেছি ২০০ টাকা কেজি। বিক্রি করছি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা দরে।
ফুলবাড়ী বাজারের সবজি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম ও নাগেশ্বরী বাজারের আব্দুল কাদের বলেন, বাজারে কাঁচামরিচের আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। এই মরিচ গুলো কুষ্টিয়া জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে। আমরা ১ হাজার টাকায় ১ ধারা (৫ কেজি) মরিচ ক্রয় করে ১ হাজার ২০০ টাকা বিক্রি করছি। আমদানি কম থাকা মরিচের বাজার দর বেড়েছে। আমদানী বৃদ্ধি পেলে দাম কমে যাবে বলে জানান তারা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুমন দাস জানান, কোনো ব্যবসায়ী যদি বাজারে কাঁচামরিচের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।