আর্কাইভ থেকে বলিউড

আমাদের জন্য আরেক বার পোশাক ছুড়ে ফেলুন, রণবীরকে পেটার

এক বার পোশাক ছাড়া ছবি দিতে পেরেছেন মানে বার বার পারবেন। তাকে বলাই যায়। মহৎ উদ্দেশ্যও রয়েছে নেপথ্যে। রণবীর সিংহের নিরাবরণ ফটোশ্যুট এ বার জরুরি কাজে লাগবে। আবারও তাকে পোশাকহীন শরীরী প্রদর্শনে যেতে হতে পারে। এ আবেদন জানিয়েছে-‘পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অব অ্যানিম্যালস’ বা পেটার। এ সংস্থাটি পশুর অধিকার নিয়ে কাজ করছে।

হাত, পা, বুক, পেট— মানুষের শরীরে যা আছে পশুদের শরীরেও তা-ই। তাদের মাংস খাওয়ার সময় খারাপ লাগে না? এ বিবেচনা করে বহু দিন ধরেই নিরামিষাশী হওয়ার ডাক দিচ্ছে পশুপ্রেমী সংস্থাটি। যেখানে রোল মডেল হতে পারেন রণবীর। দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মেলে ধরে মানুষের সামনে সচেতনতার প্রতীক হয়ে উঠতে পারেন তিনিই। সেই ভাবনা থেকে প্রস্তাব এসে পৌঁছেছে অভিনেতার কাছে।

তারা লিখেছেন, ‘আশা করি আপনি আমাদের জন্যও আর এক বার পোশাক ছুড়ে ফেলতে পারবেন।’ সঙ্গে পেটার পক্ষ থেকে হলিউড তারকা পামেলা অ্যান্ডারসনের উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে। যিনি এর আগে তাদের প্রচার অভিযানের জন্য পোজ দিয়েছিলেন।

পশুর অধিকার নিয়ে লড়ে পেটা। বর্তমানে তাদের সমর্থনকারীর সংখ্যা ২০ লাখেরও বেশি। রণবীরের সাম্প্রতিক অনাবৃত ফটোশ্যুট তাদের বিশেষ ভাবে উদ্বুদ্ধ করেছে। পশুদের অধিকারের লড়াইয়ে রণবীরের শরীরকেই অস্ত্র করতে চাইছেন তারা।

আমন্ত্রণপত্রে লেখা, ‘প্রাণীদের প্রতি সহানুভূতি প্রচার করার জন্য, আপনি কি ‘অল অ্যানিমাল হ্যাভ দ্য সেম পার্টস- ট্রাই ভেগান’ ট্যাগলাইন-সহ বেআব্রু হয়ে বিজ্ঞাপনে উপস্থিত হওয়ার কথা বিবেচনা করবেন? আপনার দেখার জন্য পামেলা অ্যান্ডারসনের এমনই একটি বিজ্ঞাপন দেয়া হল।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, অনুষ্কা শর্মা, জোয়াকিন ফিনিক্স, কার্তিক আরিয়ান এবং নাতালিয়া পোর্টম্যানের মতো তারকাও নিরামিষ খাওয়ার প্রচার চালান। শোনা যায়, রণবীরও সম্প্রতি আমিষ খাওয়া ছেড়েছিলেন চরিত্রের প্রয়োজনে। ‘রকি আউর রানি কি প্রেম কাহানি’-র জন্য তিনি নাকি নিরামিষাশী হয়েছিলেন।

অতএব এ কাজ তার উপযুক্ত বলেই মনে করছেন পেটা ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। জুলাই মাসে এক পত্রিকার জন্য রণবীরের নিরাবরণ ফটোশ্যুট বিতর্ক ছড়িয়েছিল। মহিলাদের অনুভূতিতে আঘাত হেনেছেন— এই অভিযোগ এনে অভিনেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন এক মহিলা আইনজীবী। তবে স্ত্রী দীপিকা পাড়ুকোনসহ বলিউড সতীর্থদের অনেকেই সমর্থন করেছেন রণবীরকে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন