আন্তর্জাতিক

রহস্যে পরিপূর্ণ ভারতের ভোটের কালি

ভারতে চলছে লোকসভার নির্বাচন। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের এ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন প্রায় একশ কোটি মানুষ। ইতিহাসে একসঙ্গে এত মানুষ ভোট দেয়ার উদাহরণ বিশ্বের কোথাও নেই। আর এ নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য ও সহজ করতে দেশটির সরকার ও নির্বাচন কমিশন বছর বছর অনেক নিয়ম ও পদ্ধতি নিয়ে এসেছেন। তবে এত কিছুর পরিবর্তন হলেও নির্বাচনের একটি বিষয়ের কোন পরিবর্তন হয়নি। তাহলে হলো ভোটের সময় আঙুলে ব্যবহৃত অমোচনীয় কালি। খবর- সিএনএন 

একজন ভোটার যেন একের অধিক ভোট দিতে না পারেন- এই জালিয়াতি ঠেকাতে  ১৯৬২ তে দেশটির তৃতীয় সাধারণ নির্বাচনে প্রথমবার চালু হয় এ নিয়ম।  আজ পর্যন্ত সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত রয়েছে সেই পদ্ধতি ।

বাজারে সব ধরনের কালি কিনতে পাওয়া গেলেও পাওয়া যাবে না এই কালি। কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও বাজারে মিলবে না এই কালি। শুধুমাত্র ভারতের নির্বাচন কমিশন এই কালি কিনতে পারবে।

ভারতের ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরি (এনপিএল) তৈরি করা ফর্মুলায় এই কালি বানানোর দায়িত্বে রয়েছে  ‘মাইসোর পেইন্টস অ্যান্ড ভার্নিশ লিমিটেড’ বা এমপিভিএল। মাইসোরের কৃষ্ণ রাজা ওয়াদিয়ার চতুর্থ ১৯৩৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।

এবারের নির্বাচনে এমপিভিএল প্রায় ২৭ লাখ কালির শিশি তৈরি করেছে। প্রতি শিশিতে ৭০০ জন ভোটার ভোট দিতে পারবে।

কোকা কোলা পানীয়র গোপন ফর্মুলার মতো- এই কালি তৈরির নিয়ম কোথাও সংরক্ষণ করা থাকে না।  দু’জন সিনিয়র কেমিস্ট মুখে মুখে এটি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে প্রকাশ করে। তবে যা জানা যায় এই কালিতে ব্যবহার করা সিলভার নাইট্রেট নামে একটি রাসায়নিক উপাদান।

শুধুমাত্র ভারত নয়, প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ৩৫টির মতো দেশে নির্বাচনের জন্য কালি সরবারহ করে আসছে। তবে সম্প্রতি আফ্রিকার দেশ ঘানা এই কালিকে ধীরে ধীরে নির্বাচনী ব্যবস্থা থেকে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটি কালির পরিবর্তে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন পদ্ধতি গ্রহন করবে।

এনএস/

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন