ডলারের দাম বৃদ্ধিতে পণ্য আমদানি ব্যাহত হচ্ছে: ভোক্তার ডিজি
ডলারের দাম বৃদ্ধিতে পণ্য আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ টাকা বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। পাশাপাশি বেড়েছে গ্যাস ও বিদ্যুতের দামও। এসবের প্রভাবে পণ্য উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে, ফলশ্রুতিতে নিত্যপণ্যের দামও বেড়েছে। জানালেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেড কোয়ার্টারে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সাশ্রয়ী মূল্যে ৬৪টি জেলার ১০০টি স্থানে একযোগে বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ‘ট্রাক সেল’ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ভোক্তার ডিজি বলেন, অনেক সময় একটা পণ্যের ওপরে কেন যেন হঠাৎ করে দামটা বাড়িয়ে দেয়া হয়। পেঁয়াজ নিয়ে হয়েছে, আলু নিয়ে হয়েছে। সম্প্রতি ডিম নিয়ে হচ্ছে, ব্রয়লার মুরগি নিয়ে হচ্ছে। কোল্ডস্টোরেজ করে লক্ষ লক্ষ ডিম মজুদ করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। বাজার অস্থির করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সামগ্রিক যে কার্যক্রম চলছে সে বিষয়ে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিভাগ এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তারা চিহ্নিত করতে পেরেছে যে, কতিপয় ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষেত্রেই অনিয়ম লক্ষ্য করা যায়।
সফিকুজ্জামান বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের দামের প্রভাবে পণ্য উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এর প্রভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রব্যমূল্য। এটি বাস্তবতা। তবে অযৌক্তিকভাবে যেন দ্রব্যমূল্য না বাড়ে, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।
বসুন্ধরা ফুড ১০১টি পণ্য বিশেষ ছাড়ে দিচ্ছে। তারা যদি করতে পারে, তাহলে অন্যরাও পারবে। এই কাজে সবার এগিয়ে আসা উচিত।
তিনি বলেন, এখন জেলা পর্যায়ে বসুন্ধরা ফুডের এ কার্যক্রম চালু আছে। অন্যান্য করপোরেট গ্রুপ এই কার্যক্রম চালু করলে উপজেলা পর্যায়েও কম দামে পণ্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কম দামে পণ্য পাবেন ক্রেতারা।
টিআর/