যশোর-নড়াইল মহাসড়কে গাছ না কাটতে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা
যশোর-নড়াইল মহাসড়কে ছয় লেন প্রকল্পের কারণে সড়কের দুই পাশে থাকা গাছ না কাটার ওপরে আপাতত স্থিতি অবস্থা জারী করেছে হাইকোর্ট। সম্প্রতি তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে যশোরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে— সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।
রোববার (১৯ মে) এইচআরপিবির রিটের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিটের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আদালতকে বলেন, যশোর-নড়াইল ছয় লেন মহাসড়কের উন্নয়ন প্রকল্প সরকার হাতে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের জন্য কোনও টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি। তা সত্ত্বেও মহাসড়কের দুই পাশে শত শত গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষের সুরক্ষার প্রয়োজনে গাছগুলো কাটা বন্ধ রাখা উচিত। গাছ সংরক্ষণ করেও ছয় লেনের সড়কের কাজ করা সম্ভব। তাতে জনগণ উপকৃত হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এসময়ে বলেন, গাছ কাটা যাবে না এমন কোনও আইন দেশে নেই।গাছ কাটা বন্ধ হলে উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হবে।
পাল্টা যুক্তিতে মনজিল মোরশেদ বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০৩০ সালে দাবদাহের অন্যতম শীর্ষ নগরী হবে ঢাকা। সুতরাং, গাছ সংরক্ষণ করে এখনই ব্যবস্থা না নিলে জনগণের ভোগান্তি দূর করা সম্ভব হবে না। এমনকি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুসারে বেঁচে থাকার অধিকার যা মৌলিক অধিকার তাও বিঘ্নিত হবে।
প্রসঙ্গত, উভয়পক্ষের শুনানি শেষে গাছ কাটার ওপর স্থিতি অবস্থা দেয়ার পাশাপাশি ছয় লেন মহাসড়কের টেন্ডার আহ্বান করার পরে এই স্থিতি অবস্থার আদেশ বাতিল হবে জানায় আদালত।
আই/এ