আর্কাইভ থেকে জাতীয়

ডিপোজিট ভেঙে আমদানি ব্যয় মেটাতে হচ্ছে : বিপিসি চেয়ারম্যান

প্রায় সব ডিপোজিট ভেঙে আমদানি ব্যয় মেটাতে হচ্ছে। দাম বাড়ানোর পরও প্রতি লিটার ডিজেলে ৬ টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে। জানালেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি( চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ (এনডিসি)।

আজ বুধবার(১০ আগস্ট) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিপিসি চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, সরকারের কাছ থেকে কোনও ভর্তুকি না নিয়ে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ টাকা থেকে গেলো ৬ মাস জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে।

বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে দেশে ডিজেল মজুত আছে ৩০ দিনের। অক্টেন ও পেট্রোল মজুত রয়েছে ১৮ দিনের।

বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে প্রতি লিটার ডিজেলে ১২০ টাকা খরচ হচ্ছে বিপিসির, এ ক্ষেত্রে লিটারপ্রতি ৬ টাকার মতো লোকসান দিতে হচ্ছে। তবে অকটেনে ২৫ টাকার মতো লাভ হচ্ছে।

তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য তেলের দাম বাড়ানো হয়নি। ক্রুডের কারণে পেট্রোল ও অকটেনের দাম বাড়ে। সুতরাং পেট্রোল ও অকটেনের দাম কৌশলগত কারণে বাড়াতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছর থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত জ্বালানি খাতে ক্রমাগত লোকসান গুণতে হয়, যার পরিমাণ প্রায় ৫৩ হাজার ৫ কোটি টাকার মতো। এ খাতে ভর্তুকির বিনিময়ে সরকার বিভিন্ন সময়ে ৪৪ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকার মতো বিপিসিকে প্রদান করে। ওই সময়ে আরও প্রায় ৮ হাজার ১২৭ কোটি টাকা ঘাটতি ছিল, যা পরে বিপিসির মুনাফার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়।

বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, এ পরিস্থিতিতে বিপিসির গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বিপিসির প্রকৃত লোকসান ৮ হাজার ১৪ কোটি টাকা। দেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বিপিসি বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েছে। নতুন করে ১১টি প্রকল্প হাতে রয়েছে, যার খরচ প্রায় ৩৪ হাজার ২৬১ কোটি টাকার অধিক।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন