১৬ বছরের কিশোরের প্রেমে পাগল ২৫ বছরের যুবতী
যুবতীর বয়স ২৫ বছর। ১৬ বছর বয়সি এক কিশোরের বাড়িতে ওই যুবতী জোর করে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ। তার দাবি তাকে বিয়ে করতে হবে। আসলে মাস কয়েক আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে ব্লক করে দিয়েছিল ওই কিশোর। তারপর থেকেই ওই তরুণী রেগে যান। এরপর তিনি কার্যত বেপরোয়া হয়ে ওই কিশোরের বাড়িতে চলে যান।
কথায় বলে প্রেম অন্ধ। বয়স মানে না। যা আরও একবার প্রমাণ হলো ভারতের উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনায়। ১৬ বছরের এক কিশোরের প্রেমে পাগল ২৫ বছরের যুবতী। শুধু তাই নয়, ওই নাবালকের সঙ্গে লিভ ইন করবেন বলে জেদ ধরে বসেন যুবতী। এমনকী হুমকি দেন, নাবালকের সঙ্গে থাকতে না দিলে আত্মহত্যা করবেন। ওই যুবতীর নাছোড়বান্দা আচরণে অস্বস্তিতে পড়েছে পুলিশও।
জানা গেছে, ওই যুবতী মিরুটের বাসিন্দা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিচয় হয় ওই নাবালকের সঙ্গে। সেখান থেকেই প্রথমে বন্ধুত্ব, তার পর অসমবয়সী প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে। সেই ভালোবাসার টানেই যুবতী সটান হাজির হন শামলিতে নাবালকের বাড়িতে। ওই কিশোরের পরিবারের দাবি, ওই যুবতী বেশ কয়েকদিন তাদের বাড়িতে থাকেন। তার পর তাকে চলে যেতে বললে বেঁকে বসেন। জেদ ধরেন তিনি এখানেই লিভ ইন করবেন ওই নাবালকের সঙ্গে। যদি তাঁকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া তাহলে তিনি আত্মহত্যা করবেন।
এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ওই ছেলেটির বাবা ও অন্যান্য আত্মীয়রা প্রথমে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান। শেষ পর্যন্ত সমস্যা মেটাতে না পেরে তারা জেলা শাসকেরও দ্বারস্থ হন।
ওই কিশোরের বাবা জানিয়েছেন, আমার ছেলে পড়াশোনা জানে না। কোনও কাজকর্মও করে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ছেলের। আর এখন সেই মহিলা এসে হাজির হয়েছেন আমার বাড়িতে। এখন তিনি বলছেন বাড়ি থেকে বের করে দিলেই আত্মহত্যা করব।
এদিকে গোটা ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে পুলিশ প্রশাসন। ওই মহিলাকে তার বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ওই মহিলাকে তার বাড়ির লোকজনও ফিরিয়ে নিতে চাননি। কারণ তিনি বদনাম করে ফেলেছেন। সেক্ষেত্রে তিনি আর ফিরতে চাননি তার বাড়িতে। এরপর তিনি ফের ফিরে আসেন। আপাতত ঠিক করা হচ্ছে এভাবে তার বাড়ির লোকজন যদি নিতে না চান তবে তাকে কোনও সেল্টার হোমে পাঠানো হবে।
এদিকে ওই মহিলার পরিবারের লোকজন হকারি করেন। মীরাটেরও বাসিন্দা তারা। কিন্তু এভাবে বার বার ওই নাবালকের কাছে চলে আসাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশও পড়ে গেছে মহা আতান্তরে।
জেএইচ