আন্তর্জাতিক

গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে দেখতে স্ত্রীর পেট কাটেন স্বামী

২২ বছরের দাম্পত্য জীবনে ৫ মেয়ের জনক-জননী তারা। তাই ছেলে সন্তানের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করতেন। এমনকি ছেলে সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য স্ত্রীকে চাপও দিতেন। এরপর স্ত্রী গর্ভবতী হলে স্বামী জানতে চান ছেলে সন্তান আসছে নাকি কন্যা। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে স্ত্রীর পেট চাকু দিয়ে কেটে ফেলেন স্বামী।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে।

শুক্রবার (২৪ মে) ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এনডিটিভি জানিয়েছে, পান্না লাল নামের এই ব্যক্তি উত্তর প্রদেশের বাদুনস সিভিল লাইনের বাসিন্দা। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি তার স্ত্রী অনিতাকে কাঁচি দিয়ে আঘাত করেন। সম্প্রতি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ওই পাষণ্ড ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত স্বামী পান্না লাল রাজ্যের বাড়াউনের সিভিল লাইনসের বাসিন্দা। তার স্ত্রী অনিতা ৮ মাসের গর্ভবতী। তাদের ৫ কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে ছেলে সন্তানের জন্য পান্না প্রায়ই তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করতেন। ছেলে সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য প্রায়ই তালাকের হুমকি দিতেন।

এই সমস্যার কথা তাদের পরিবারও জানতো। তারা তা সমাধানের চেষ্টাও করেছে একাধিকবার।

ঘটনার দিনও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে স্বামী পান্না অনিতার পেট কাটার জন্য উদ্যত হলে উপায় না দেখে পালানোর চেষ্টা করে অনিতা। কিন্তু তাকে ধরে চাকু দিয়ে আঘাত করে পান্না। এতে তার নাড়ি ভুড়ি বেরিয়ে ঝুলে যায়।

পরিবারের লোকজন অনিতাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেঁচে যায় সে, তবে বাঁচানো যায়নি অনাগত সেই সন্তানকে। জানা গেছে, এবার তাদের ছেলে হওয়ার কথা ছিল।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে পান্না লাল। তার দাবি ছিল, স্ত্রীর ভাইয়ের সাথে জমি নিয়ে ঝামেলা থাকায় তাকে ফাঁসাতে এমন কাণ্ড করা হয়েছে। কিন্তু আলাদালত অভিযোগের সত্যতা ও প্রমাণ পাওয়ায় পান্নাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন