এমপি আজীম হত্যা : তদন্তে কলকাতা গেলেন ডিবি প্রধানসহ ৩ জন
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনা তদন্ত করতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল কলকাতা গেছেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে কলকাতা গেছেন তিন সদস্যের একটি দল। তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, ওয়ারী বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ আব্দুল আহাদ ও এডিসি শাহীদুর রহমান।
রোববার (২৬ মে) সকালে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন প্রতিনিধিদলটি।
বিমানবন্দরে ডিবিপ্রধান বলেন, শাহীন এই হত্যার মাস্টারমাইন্ড বলে নিশ্চিত হয়েছে কলকাতা ও ঢাকার গোয়েন্দারা। বাংলাদেশের তদন্ত দল কলকাতায় প্রথমে ঘটনাস্থলে যাবে। এরপর ভারতে গ্রেপ্তার জিহাদ হাওলাদারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
তিনি বলেন, শাহীনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের মহাপরিদর্শকের মাধ্যমে আবেদন করা হবে। ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গেলো ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনোয়ারুল আজিম। তিনি পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন আনোয়ারুল আজিম।
বাড়ি থেকে বের হওয়ার পাঁচদিন পর গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজিমের নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপর হঠাৎ গত ২২ মে খবর ছড়ায় কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে আনার খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে সেখানে তার মরদেহ মেলেনি।
ভারতীয় তদন্তকারীদের মতে, একজন বাংলাদেশি মডেলকে ‘হানি ট্র্যাপ’ হিসেবে ব্যবহার করে এমপি আনোয়ারুলকে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার আবাসিক কমপ্লেক্সের একটি আভিজাত্য ফ্ল্যাটে ডেকে নেন শাহীন। ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশের ১৫ মিনিটের মধ্যে তাকে হত্যা করা হয়েছিল।
ফ্ল্যাটে প্রবেশ করা মাত্রই এমপি আনারকে ক্লোরোফর্ম দেওয়া হয়। তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে তার মরদেহ খণ্ড-বিখণ্ড করেন জিহাদ হাওলাদার (২৪)। মরদেহ খণ্ড-বিখণ্ড করার পর কয়েকটি প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়।