দেশজুড়ে

রেমালের প্রভাবে কক্সবাজারে শুরু হয়েছে বাতাস ও বৃষ্টিপাত

তীব্র ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দুপুর থেকে উপকূলে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি কখনো বা ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সাথে রয়েছে দমকা বাতাস। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকা। ইতোমধ্যেই কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার (২৬ মে) জেলার ঘূর্ণিঝড়ের সার্বিক পরিস্থি নিয়ে বায়ান্ন টিভিকে এ তথ্য জানান কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।

জেলা প্রশাসক জানান, জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সিপিপির ৮৬০০ এবং রেডক্রিসেন্টের ২২০০ সহ ১০ হাজার ৮০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে  ৬৩৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এছাড়া সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সাগরের জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়ায়। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট ও শুটকি মহাল।  সমিতি পাড়া বাজার থেকে কুতুবদিয়া পাড়া, সমিতি পাড়া, মোস্তাক পাড়া, বাসিন্না পাড়ার নিচু অংশ প্লাবিত হয়েছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে যাচ্ছে লোকজন।

সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা ওই এলাকায় মাইকিং চালিয়ে সতর্ক করছেন এবং লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে অনুরোধ করছেন।

কুতুবদিয়া পাড়ার বাসিন্দা আলী আজগর জানান, জোয়ারের পানিতে প্রায় সময় এ অঞ্চল প্লাবিত হয়। তবে এবার সাগরের পানি বেড়ে যাওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নাজিরারটেক শুঁটকি মহালে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে শুঁটকি মহালের জিনিসপত্র গোছানোর কর্মব্যস্ততা বেড়েছে কর্মচারীদের।

কক্সবাজার পৌর কাউন্সিলর আক্তার কামাল জানান, সমিতিপাড়ার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২৫ মে রাত থেকে সতর্কবার্তা প্রচার চলমান রেখেছে জেলা প্রশাসনসহ সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। তবে প্রচারণা চালালেও গতকাল রাত থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপস্থিতি নজরে পড়েনি।

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন