কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করবে বাংলাদেশ ও সৌদি আরব
ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও সৌদি আরব যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
রোববার (২৬ মে) রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা সৌদি আরবের টেকনিক্যাল এন্ড ভোকেশনাল ট্রেনিং করপোরেশনের (টিভিটিসি) ভাইস গর্ভনর ড. আবদুল্লাহ আল মারযুক এর সাথে রিয়াদস্থ টিভিটিসি এর প্রধান কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়কালে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।
মতবিনিময় সভার শুরুতে ভাইস গর্ভনর মিশন উপ-প্রধানসহ বাংলাদেশ দূতাবাস, রিয়াদ থেকে আসা প্রতিনিধি দলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের উন্নয়ন ও বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠানোর জন্য বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
টিভিটিসি এর ভাইস গর্ভনর বলেন, ভিশন ২০৩০ কে সামনে রেখে সৌদি আরব তেল নির্ভর অর্থনীতি থেকে সরে এসে অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য আনার জন্য কারিগরি ক্ষেত্রে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।এইক্ষেত্রে ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তির ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে বলে প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেন তিনি।
বাংলাদেশের বিভিন্ন টেকনিক্যাল সেন্টারের ওয়ার্কশপ উন্নয়ন, সৌদি আরবে টেকনিক্যাল সেন্টারের মাধ্যমে দেশটিতে কর্মরত জনবলকে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করা, যৌথ গবেষণা, রিসোর্স পার্সনদের প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ক্ষেত্রে দুই দেশের যৌথ সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহের বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় বাংলাদেশের টেকনিক্যাল সেন্টার ও কলেজসমূহের কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা দিয়ে মিশন উপ-প্রধান সৌদি আরবের সাথে কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, বাংলাদেশে বাংলাদেশ-সৌদি আরব কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদপ্রাপ্তদের স্বীকৃতি, কারিকুলাম উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং সৌদি সরকার অনুমোদিত Takamol for Bussiness Services Company এর মধ্যে Skills Verification Programme (SVP) বাস্তবায়ন সংক্রান্ত চুক্তির আওতায় ২৯টি পেশায় বাংলাদেশ হতে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সৌদি সরকার প্রদত্ত দক্ষতার সনদ নিয়ে বর্তমানে সৌদি আরবে কাজ করছেন।
ভাইস গভর্নর আলোচনা শেষে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে একটি পৃথক খসড়া প্রস্তাবনা তৈরি করা এবং পরবর্তীতে এমওইউ এর মাধ্যমে কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করার জন্য মতামত প্রদান করেন।
এএম/