আন্তর্জাতিক

গাজায় হামাসের সাফল্যে ফিলিস্তিন ও লেবাননে উৎসব!

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান অভিযানের মধ্যেই তাদের বেশ কয়েকজন সেনাকে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস যোদ্ধারা আটক করায় আনন্দ ও উল্লাস করছে ফিলিস্তিন ও লেবাননের জনগণ।

ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা পার্স টুডে ও লেবাননের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনা আটকের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিজয় উদযাপনের জন্য রোববার অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও লেবাননের রাস্তায় অসংখ্য মানুষের ঢল নামে। তারা ‘হামাস দীর্ঘজীবী হোক’ বলেও স্লোগান দেন।

প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কাছ থেকে রোববার বড় ধরণের দুঃসংবাদ পায় ইসরায়েলি বাহিনী। দুঃসংবাদটি হলো- হামাসের যোদ্ধারা বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে আটক করে নিয়ে গেছে।

হামাসের সামরিক শাখা আল কাসসাম ব্রিগেডের ‍মুখপাত্র আবু উবায়দার বরাত দিয়ে রোববার(২৬ মে) ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার উত্তর গাজার জাবালিয়াতে এক সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে আটক করে কাসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা। তবে কতজন ইসরায়েলি সেনাকে আটক করা হয়েছে তা উল্লেখ করেনি আবু উবায়দা।

কাসসাম ব্রিগেডের নিজস্ব টেলিগ্রাম চ্যানেলে আপলোড করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, এক ইসরায়েলি সেনাকে আহত অবস্থায় গাজার একটি টানেলের ভেতর  টেনে নিয়ে যাচ্ছে যোদ্ধারা। এ সময় ভিডিওতে বন্দি ইসরায়েলি সেনাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্র ও নিরাপত্তাসামগ্রীর ছবি দেখানো হয়।এতে ধারণা করা হচ্ছে কমপক্ষে তিন সেনাকে আটক করেছে কাসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হামাস যোদ্ধারা ফাঁদে ফেলে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি  সেনাকে টানেলের ভেতর নিয়ে যায়।  সেখানে হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ইসারায়েলি সেনাদলের সব সদস্য নিহত, আহত ও বন্দি হয় বলে জানান তিনি।

তবে হামাসের এমন দাবি সম্পূর্ণরুপে অস্বীকার করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, সেনা অপহরণের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালিয়ে এক হাজার দুইশো জনের বেশি ইসরায়েলিকে হত্যা ও প্রায় চারশো নাগরিককে আটক করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। এর প্রতিশোধ নিতে গাজায় ওইদিনই বড় ধরণের অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। তাদের অব্যাহত অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজায় ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও ৮০ হাজারের বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন