ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য
উপকূলীয় অঞ্চল ও সুন্দরবনে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ঝড়ে সুন্দরবনের গাছপালা, বন্যপ্রাণী ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে বেশিরভাগ এলাকা।
মঙ্গলবার (২৮ মে) খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রিমালের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস হয়ে সুন্দরবন ১০-১২ ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। বনের প্রাণীদের আবাসস্থল তলিয়ে যাওয়ায় বন্যপ্রাণীর ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ঝড়ের পর কটকা ও মোংলার কানাইনগর এলাকা থেকে দু'টি মৃত হরিণ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বনের অভ্যন্তর থেকে ছয়টি ও সংলগ্ন লোকালয় থেকে সাতটি জীবিত হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ কর্মকর্তা বলেন, বনের শতাধিক মিষ্টি পানির পুকুর তলিয়ে লবণ পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া সাগর পাড়ার কটকা, দুবলার চরের ফরেস্ট অফিস ও জেটি ভেঙে যাওয়াসহ বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ৭-৮ কোটি টাকার অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে।
অপরদিকে বনের গাছপালারও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
এর আগে রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যায় ১২০ কিলোমিটার বেগে সুন্দরবন দিয়ে উপকূলে আঘাত হানে রেমাল। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলাসহ কয়েকটি জেলার বিভিন্ন এলাকা। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
কেএস/