যে খাবার খেলে অফিস-বাসায় ফিট থাকবেন নারীরা
সংসার, অফিস, বাড়ির সকলের দায়িত্ব— এত কাজ একা সামলাতে গিয়ে আলাদা করে নিজের খেয়াল রাখার সময় থাকে না মেয়েদের। সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয় খাওয়াদাওয়ায়। আর তাতে পুষ্টির অনেকটা অভাব ঘটে। পুষ্টির ঘাটতিতে নানা রকম রোগবালাই বাসা বাঁধে শরীরে। প্রতিরোধশক্তির অভাব ঘটে। তা ছাড়া আরও অনেক শারীরিক সমস্যা হানা দেয়। তাই হাজার ব্যস্ততার মাঝেও নিজের খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দিতে হবে মেয়েদের। ঘড়ি ধরে খাবার খাওয়ার পাশাপাশি এমন কিছু খাবার খেতে যেগুলি শরীরের যত্ন নেবে। রইল তেমন কিছু খাবারের খোঁজ।
নানা রকম বাদাম
বিভিন্ন ধরনের বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং প্রোটিন থাকে। কাঠবাদাম, পেস্তা, আখরোট, কাজু বাদাম, চিনে বাদাম— সবই স্বাস্থ্যকর জলখাবার হিসেবে খেতে পারেন। কিছু বাদাম রাতে ভিজিয়ে রাখলে সকালে ঘুম থেকে উঠে জলখাবারের আগে খেয়ে নিন। অনেক বেশি উপকার পাবেন। এবং সকালের ব্যস্ততায় চটজলদি খাওয়াও হয়ে যাবে। এ ছাড়া চিয়া বীজ, তিসির বীজ, কুমড়োর বীজ বা অন্য কোনও বীজ দিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে রেখে দিন। বিকেলের দিকে খিদে পেলে অল্প একটু খেয়ে নিতে পারেন।
শাকসব্জি
নানা রকমের শাক, লেটুস, ব্রকোলির মতো সবুজ শাক-সব্জি মরসুম অনুযায়ী রোজ খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কোলাজেন কমে যায় আমাদের শরীরে। তাই ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। তাই প্রত্যেক দিন নানা রকম দামি প্রসাধনী ব্যবহার করার বদলে যদি খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দেন, তা হলে বেশি উপকার পাবেন।
ওট্স
চটজলদি স্বাস্থ্যকর জলখাবারের জন্য ওট্সের মতো ভাল জিনিস হয় না। ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ওট্স। গ্লুটেন যদি সহ্য না হয়, তা হলে ওট্স ভাল বন্ধু হয়ে উঠবে। ওট্স গুঁড়ো করে তা দিয়ে রুটি, কেক, প্যানকেক— সব রকমই বানাতে পারেন। দুপুরের খাবারেও চলতে পারে ওট্সের খিচুড়ি। বিশেষ করে আপনি যদি ওজন কমানোর ডায়েট করেন।
কেএস/