এশিয়া

দুই শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১০

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের দুটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে হামলায় ৬ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। পৃথক হামলায় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে আরও ৪ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের সবাই নারী ও শিশু।

সোমবার (৩ জুন) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

স্বাস্থ্য সূত্র ওয়াফার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হামলায় নিহত ছয় শিশু ও নারীর মরদেহ দেইর আল-বালাহের আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া হামলার পর উদ্ধারকারীরা এখনও বেঁচে যাওয়াদের খোঁজে ধ্বংসস্তূপে তল্লাশি করছে। সোমবার মধ্যরাতের পর আকাল পরিবারের একটি বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

বুরেইজ শরণার্থী শিবিরটি নুসেইরাত শরণার্থী শিবির থেকে প্রায় ২ কিমি দূরে অবস্থিত। এই হামলার আগে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নুসেইরাতেও চারজন নিহত হয়েছেন।

ওয়াফা নিউজ এজেন্সি এবং আল জাজিরার সংবাদদাতা জানিয়েছেন, এই হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

এদিকে গেলো বছরের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান আক্রমণে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৩৬ হাজার ৪৩৯ জনে পৌঁছেছে বলে রোববার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হামলায় আরও ৮২ হাজার ৬২৭ জন আহত হয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ৬০ জন নিহত এবং আরও ২২০ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

টিআর/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন