সুপার ওভারের রোমাঞ্চে ওমানকে হারালো নামিবিয়া
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনে নামিবিয়া ও ওমানের ম্যাচটি দারুণ উত্তেজনা ধরিয়ে দিল। সুপার ওভার পর্যন্ত তা গড়াবে কেই-বা জানতো! প্রথমে ব্যাট করতে নামা ওমান মাত্র ১০৯ রানে অলআউট হয়। নামিবিয়া সহজে সেখান থেকে উদ্ধার পায়নি। বরং ওমানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে ছিল দলটি। এরপর ম্যাচটি টাই হয়ে যায় এক পর্যায়ে। সুপার ওভারে অবশ্য নামিবিয়া নিজেদের শক্তিমত্তার প্রমাণ দিয়েছে। বিশেষ করে জয়ের নায়ক ডেভিড ভিসার কথাই এখানে আলাদা করে বলতে হয়।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য নামিবিয়ার দরকার ছিল মাত্র ৫ রান। সেখানে মেহরান খানের প্রথম ডেলিভারিতে ৪৫ রান করা জ্যান ফ্রাইলিংক প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। ম্যাচে যেন নাটকীয়তার বাতাস পাওয়া যায়। এরপর তৃতীয় বলে আরও এক উইকেট। শেষ বলে ২ রান নিতে হতো, স্ট্রাইকে ভিসা ছিলেন। তবে সেটা আর সম্ভব হয়নি। এক রান আসে বাই থেকে, এতে ম্যাচটি টাই হয়ে যায়।
সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করতে নামে নামিবিয়া। ভিসা ও জারহার্ড এরাসমাস দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। ভিসা প্রথম দুই ডেলিভারিতে ১০ রান নিয়ে আসে। শেষ দুই বলে এরাসমাসের ব্যাটে দুই বাউন্ডারি আসে। নামিবিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২১ রানে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভিসার ওভার সামলাতে পারেনি দুই ওমান ব্যাটার; নাসিম খুশি ও আকিব ইলিয়াস। শেষ বলে একটি ছক্কা আসে কেবল ইলিয়াসের ব্যাট থেকে। দলটি মাত্র ১০ রান নিতে পারে ৬ বলে। ফলে ১১ রানের হারের স্বাদ পেতে হয় ওমানকে।
এর আগে ব্রিজটাউনে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ওমানের পক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ আসে খালিদ কাইলের ব্যাট থেকে, ৩৪ রান। অধিনায়ক আকিব করেন ২২ রান। নামিবিয়ার পক্ষে বল হাতে, রুবেল ট্রাম্পেলম্যান ৪ টি, ডেভিড ভিসা নিয়েছেন ৩ টি উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নামা নামিবিয়া শুরুতেই ওপেনার মাইকেল ভ্যান লিনগেনের উইকেট হারায়। এরপর নিকোলাস ডাভিন ও জ্যান ফ্রাইলিংক মিলে অনেকটা স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আসে খেলা। নিকোলাস ২৪ রান করে ফেরেন। এরপর ফ্রাইলিংককে সহযোগিতা করার মতো ব্যাটার পাওয়া যায় না।
শেষ পর্যন্ত ফ্রাইলিংকের ব্যাটে ৪৮ বলে ৪৫ রান আসে। আর শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ম্যাচটি টাই হয়ে যায়।
ওমানের বোলারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন মেহরান খান।
এম/এইচ