আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

‘এ সরকারের অবসানের পরে সব উন্মোচিত হয়ে বিচারও হবে’

‘আয়নাঘর’ নামের অন্ধকার ঘরের লোমহর্ষক বিবরণ গা শিউরে ওঠে। পৃথিবীর কুখ্যাত কারাগারের মতোই ভয়াবহ এটি। এ সরকারের অবসানের পরে এগুলো সব উন্মোচিত হবে, বিচারও হবে। বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, সরকারের সমালোচনাকারী বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা, নাগরিক সমাজের সত্য উচ্চারণে নির্ভীক ব্যক্তিদের তুলে নিয়ে গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যা ক্ষমতায় টিকে থাকার আবশ্যকীয় কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। অনেককে ৯/১০ বছর ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিএনপির সাবেক এমপি ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী, সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম হীরু ও ঢাকার কমিশনার চৌধুরী আলমসহ ৬০০ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে।

ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, সরকারের গুম বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত হুইসেলব্লোয়ারদের দেয়া তথ্য এবং ওই বন্দীশালার দুই বেঁচে যাওয়া বন্দীর জবানবন্দীর ভিত্তিতে করা প্রতিবেদনে টর্চার ও ডিটেনশন সেল ‘আয়নাঘর’ নামের অন্ধকার ঘরের লোমহর্ষক বিবরণ গা শিউরে ওঠে। গুমের নির্মম শিকার এ হতভাগ্যরা আপনার, আমার মতোই এ সমাজেরই মানুষ। একদিন হুট করে মানুষগুলো হারিয়ে যায়, আর ‘আয়নাঘরের’ দেওয়ালে দেওয়ালে লিখে রাখে বাঁচার আর্তনাদ। এ ‘আয়নাঘর’ পৃথিবীর কুখ্যাত কারাগারের মতো ভয়াবহ। এ সরকারের অবসানের পরে এগুলো সব উন্মোচিত হবে, বিচারও হবে।

অনুষ্ঠানে রিজভী আরও বলেন,  দেশের স্বাধীনতার তথাকথিত চ্যাম্পিয়নের দাবিদার আওয়ামী লীগের আজ কি করুণ ভয়াবহ বিপর্যস্ত অবস্থা। জনগণকে তারা প্রতিপক্ষ বানিয়েছে। জনগণের সঙ্গে তাদের শত্রুতা। তাদের ভোটের অধিকার, মানবাধিকার আওয়ামী লীগ স্বীকার করতে চান না। তাই তারা বিদেশিদের কাছে দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে নিজেদের টিকে থাকার জন্য ভিক্ষার হাত প্রসারিত করেছে।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

এসি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন