মালয়েশিয়া কর্মী পাঠাতে ব্যর্থতার দায় নিতে রাজি না রিক্রুটিং এজেন্সি
বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র পাওয়া প্রায় ১৭ হাজার বাংলাদেশি মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পাননি। এ অবস্থায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশটিতে কর্মী পাঠাতে না পারার ব্যর্থতার দায় নিতে নারাজ দেশের রিক্রুটিং এজেন্সির একাংশ। তাদের দাবি,শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় যেতে না পারার দায় মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের।
মঙ্গলবার (৪ জুন) রাজধানীর বঙ্গ-মাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে এ দাবি করেন রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা।
বাংলাদেশে অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, যারা মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি তাদের তালিকা করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে। যেসব এজেন্সি তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাঠাতে পারেনি তাদের নাম বায়রায় এসে লিপিবদ্ধ করার আহ্বান জানান তিনি। এজেন্সিকে কত টাকা দিয়েছেন সেটাও লিপিবদ্ধ থাকবে। সরকার যদি তাদের পাঠাতে ব্যর্থ হয় তাহলে এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে টাকা আদায় করে কর্মীদের ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
বায়রার সাবেক মহাসচিব মোহাম্মদ রুহুল আমিন স্বপন বলেন, গেলো ৩১ মে পর্যন্ত মালয়েশিয়া সরকার ই ভিসা ইস্যু করেছে। বাংলাদেশ সরকারও অনুমোদন দিয়েছে। ৩১ মেও যদি ই-ভিসা ইস্যু করা হয় তাহলে তাঁরা কীভাবে তালিকা তৈরি করবেন? ১৫ মার্চ থেকে যদি ভিসা ইস্যু বন্ধ করা হতো তাহলে সংকট তৈরি হতো না। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও মালয়েশিয়া সরকার বিষয়টি দেখলে এ সংকট তৈরি হতো না।
বায়রা সভাপতি কর্মীদের কাছ থেকে চার গুণ টাকা বেশি নেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, প্রত্যেক কর্মীর কাছ থেকে ৪-৫ লাখ নেওয়ার যে অভিযোগ ওঠেছে সেটা সঠিক নয়। এ রকম অভিযোগ অনেকে করে।
সংগঠনের মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদনের পরে যেসব কর্মীরা আসলেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের টাকা ফেরত দেয়ার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি যদি সম্ভব হয় এই কর্মীদের মালয়েশিয়া পাঠানো যায় কি না সে বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
বায়রার সাবেক সভাপতি বেনজির আহমদ বলেন, এমপিদের নেতৃত্বে ২৪ কোটি টাকা আত্মসাতের যে অভিযোগ উঠেছে সেটা ভিত্তিহীন। এ রকম তথ্য দিয়ে ক্ষতিটা কার হচ্ছে? কোনোভাবেই কেউ এটা প্রমাণ করতে পারবে না যে এমপিরা এমনটা করেছেন। কারণ হলো ১০১টা লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এমপিরা তো মালয়েশিয়ায় যায়নি। কাউকে তাঁদের লাইসেন্স দিতে বলেনি। নিয়ম মেনেই সব হয়েছে।
আই/এ