দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্যায় ২২ জন নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্ব উপকূলে ভারী বৃষ্টি ও তীব্র বাতাসের কারণে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় দুই প্রদেশের বেশ কয়েকটি স্থানে বন্যা আঘাত হেনেছে। সেখানে দুই দফা টর্নেডো আঘাত হানার পর তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গেছে। মধ্যাঞ্চলের বেশ কিছু জায়গায় তুষারপাতের খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) সংবাদমাধ্যম এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
নেলসন ম্যান্ডেলা বে মিউনিসিপ্যালিটির এক মুখপাত্র জানান, ইস্টার্ন কেপে কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নেলসন ম্যান্ডেলা উপসাগর থেকে দুই হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে পৌরসভার অস্থায়ী বাড়িগুলো থেকে বহু মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পোশাক, খাদ্য এবং কম্বল সহায়তা দেওয়া জন্য আবেদন জানিয়েছে। প্রতিবেশী কোয়াজুলু-নাতালের প্রাদেশিক সরকারও বলেছে যে, বন্দর নগরী ডারবান এবং এর আশেপাশে কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ কোয়াজুলু-নাটালে সতর্কতা জারি করেছে। প্রাদেশিক সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ৫৫ জন সামান্য থেকে মাঝারি আঘাত পেয়েছেন এবং তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ভারী বৃষ্টি-বন্যায় অন্তত ১২০ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং তিনটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল ডারবান এবং এর আশেপাশের এলাকায়। সে সময় ভূমিধসে চার শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়।
এদিকে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে। বন্যার পানিতে বাড়ি-ঘর ভেসে গেছে, রাস্তা-ঘাট প্লাবিত হয়েছে এবং গাছ উপড়ে পড়েছে। অনেক স্থানেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
পূর্ব ভারত মহাসাগরের উপকূলে ভারী বৃষ্টি আঘাত হেনেছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার নয়টি প্রদেশের চারটিতে আবহাওয়া সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।
কেএস/