ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পথে চা বিক্রি, ২১২ বস্তা চা জব্দ
পঞ্চগড় শহরের সওদাগর এক্সপ্রেস কুরিয়ার সার্ভিস থেকে পিকআপসহ অবৈধ ২১২ বস্তা চা জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় প্রতিষ্ঠানের গোডাউন ঘর সাময়িক সিলগালা করা হয়েছে।
গেলো সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে পঞ্চগড় শহরের উত্তর মিঠাপুকুর এলাকায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন রোডের সওদাগর এক্সপ্রেস কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানে এই অভিযান পরিচালনা করেন পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মাসুদুল হক।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, বিশেষ সংবাদে ভিত্তিতে পঞ্চগড় থেকে অবৈধ ভাবে দেশের বিভিন্ন জেলায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে চা পাঠানো হচ্ছে। এই খবরের ভিত্তিতে কুরিয়ারের ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান কালে একটি পিকআপসহ ২১২ বস্তা চা উদ্ধার করা হয়। কুরিয়ার সার্ভিসের পঞ্চগড় ব্রাঞ্চের মালিক আবুল কালাম আজাদ ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারককে ২১২ বস্তা চায়ের কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় পিকআপসহ চা গুলো জব্দ করা হয়। একই সময় সওদাগর এক্সপ্রেস কুরিয়ার সার্ভিসের গোডাউন ঘরে চায়ের বস্তাগুলো রেখে গোডাউন ঘরটি সাময়িক ভাবে সিলগালা করা হয়। জানা যায় চায়ের বস্তাগুলো প্রায় ৫০ কেজি ওজনের । এসব চা পঞ্চগড়ের চা কারখানা গুলো থেকে উৎপাদিত।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল হক বলেন, বিশেষ সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সওদাগর এক্সপ্রেস কুরিয়ার সার্ভিস থেকে অবৈধ ভাবে বিক্রি করা ২১২ বস্তা চা সহ একটি পিকআপ জব্দ করা হয়। চায়ের যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় চায়ের বস্তাগুলো জব্দ করে পঞ্চগড় কাস্টমের কাছে হস্তান্তর করে প্রতিষ্ঠানটির গোডাউন সাময়িক সিলগালা করা হয়। যদি এই চায়ের যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে না পারে তবে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি জানান,সরকারি ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে চায়ের নিলাম বাজার না পাঠিয়ে অবৈধ পথে অন্যত্র বিক্রি করার জন্য এই চা গুলো গোপনে বিক্রি করা হচ্ছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
অভিযান কালে বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের নর্দান বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ শামীম আল মামুন, পঞ্চগড় কাস্টমের সুপারেন্টেন আবু সরোয়ার, ও পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।