জাতীয়

আজকের সৃষ্ট নথিপত্রই আগামী দিনের ঐতিহাসিক দলিল: রাষ্ট্রপতি

আজকের সৃষ্ট নথিপত্রই আগামী দিনের ঐতিহাসিক দলিল তথা মূল্যবান আরকাইভাল উপকরণ। তাই গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের আরকাইভাল মূল্য সম্পর্কে সরকারি-বেসরকারি কর্তৃপক্ষসহ সকলের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে। বললেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।

রোববার (৯ জুন) ‘আন্তর্জাতিক আরকাইভস দিবস’ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সচেতন একজন পরিপূর্ণ বাঙালি। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মূল উপাত্ত সংরক্ষণের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে ‘বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস' প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির উপাত্ত ও উপাদানসমূহের কেন্দ্রীয় সংরক্ষণাগার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় আরকাইভসে রক্ষিত পুরাতন নথিপত্র দেশ-বিদেশের সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, গবেষকসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের নিকট গ্রহণযোগ্য ইতিহাস চর্চার অমূল্য দলিল। বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের উৎস ও রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহারের ক্ষেত্রেও জাতীয় আরকাইভসে রক্ষিত দলিলাদির ঐতিহাসিক মূল্য অনেক বেশি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর একটি স্মার্ট আরকাইভস হিসেবে গড়ে উঠবে এবং অচিরেই দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধশালী আরকাইভস হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক আরকাইভস দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।’  তিনি এ উপলক্ষ্যে আরকাইভস ব্যবহারকারী, গবেষক এবং আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

তিনি ‘আন্তর্জাতিক আরকাইভস দিবস’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

সূত্র: বাসস

কেএস/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন