গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞ যেন থামছেই না
গাজায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার শিকার হচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনবাসী। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েল হামলা চালায়নি। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি গণহত্যায় ২১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও চার শতাধিক মানুষ। শনিবার (০৮ জুন) চার জিম্মিকে উদ্ধার করতে গিয়ে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় ইসরায়েল।
রোববার (০৯ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) বলছে, মধ্য গাজার আল-আকসা হাসপাতালে যেন এক দুঃস্বপ্নের রাত কাটিয়েছে ফিলিস্তিনিরা। আল আকসা এবং নাসের হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছেই। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।
গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি অভিযানে শিশুসহ কয়েকডজন মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও বহু মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হিমিশিম খাচ্ছেন আল-আকসা এবং নাসের হাসপাতালের চিকিৎসাকর্মীরা। তাছাড়া হতাহত শিশুদের ছবিও প্রকাশ করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গেলো বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে একটি সংগীত উৎসবে হামলা চালিয়ে ২২১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তাদের মধ্যে ৪০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে আইডিএফ। হামাসের হাতে এখনো জিম্মি রয়েছে ১১৬ জন।
হামাসের ওই হামলার পর গাজায় অভিযান চালায় ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৬ হাজার ৮০১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৮৩ হাজার ৬৮০ ফিলিস্তিনি।