এবার বাংলাদেশের সামনে প্রোটিয়া চ্যালেঞ্জ
নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে খেলা খুব সুবিধার হচ্ছে না, দলগুলো তা টের পাচ্ছে। ব্যাটিংয়ে দাঁড়ালে বলগুলো সাপের মতো বাঁক নিচ্ছে, অনেক সময় নিচু হচ্ছে। এমন নানা কিছুই ঘটতে দেখা যাচ্ছে ড্রপ ইন পিচগুলোর উপর। এই মাঠেই আজ (সোমবার) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮ টায় মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
দক্ষিণ আফ্রিকা কিছুটা এগিয়ে থাকবে একটি জায়গায়। নাসাউ কাউন্টিতে এরমধ্যে ২ টি ম্যাচ খেলে নিয়েছে তারা। দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে দলটি। একটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, অন্যটি নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। তবে খুব আরাম করে জিতেছে তারা, এমনটি বলা যায় না। রান করতে বেশ কষ্টই করতে হয়েছে।
রবিবার রাতের ম্যাচে এই মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। পাকিস্তানের সামনে ১২০ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুড়ে দিয়েছিল ভারত। এই লক্ষ্যমাত্রা পেরোতে পারেনি বাবর আজমের দল। দেখে মনে হয়েছে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে তাদের। ভারতীয় বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই ব্যর্থ হচ্ছিল পাকিস্তানি ব্যাটাররা। সেখানে পিচের যে কিছু ভূমিকা ছিল তা বলাই বাহুল্য। তবে দিন শেষে ভারত নিজেদের শক্তিমত্তা দিয়ে ম্যাচটি ঠিকই জিতে নিয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি রেকর্ড মোটেই ভালো নয়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ৮ বারের দেখায় আট বারই হেরেছে বাংলাদেশ। যেখানে ৩ বার সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল।
এবারের ম্যাচটিতেও বাংলাদেশ কিছুটা পিছিয়ে থাকবে কি না, তা এক প্রশ্ন। তবে এতে যে বিপক্ষ দল খুব একটা এগিয়ে থাকছে, তেমনটিও বলা যায় না। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে দ্রুত রান তুলতে পারবে, এমন কিছু খেলোয়াড় আছে। অন্যদিকে বোলিং লাইন-আপেও ভালো কিছু নাম আছে। বিশেষ করে পেসারদের দিকে যদি তাকানো যায়।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চিন্তা ব্যাটিং। আরও মোটা দাগে বললে টপ-অর্ডার। ব্যাটিংয়ের চ্যালেঞ্জ উতরাতে পারলে, ভালো কিছু দেওয়ার সম্ভাবনা আছে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। বাঙ্গালদেশ এই ম্যাচটি জিতলে অনেকখানি এগিয়ে যাবে সুপার এইটে যাওয়ার পথে। আর দক্ষিণ আফ্রিকা সবচেয়ে বড় দাবিদার পরের রাউন্ডের জন্য। সেখানে দুই ম্যাচ জিতে তারা এমনিতেই এগিয়ে আছে, টাইগারদের বিপক্ষে জিতলে তা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যাবে।
এম/এইচ