আন্তর্জাতিক

ভারতের নতুন মন্ত্রিসভায় কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী মন্ত্রীদের নিয়ে শপথের পর এবার তাদের দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে। সোমবার (১০ জুন) সন্ধ্যায়  ভারতের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের দপ্তর বণ্টন করা হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্র্রতিবেদন অনুযায়ি এবারও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন বিজেপির অন্যতম প্রধান নেতা অমিত শাহ।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবারও থাকছে বিজেপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের হাতে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এস জয়শঙ্করের ওপরই আবারও আস্থা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

গুরুত্বপূর্ণ এই তিন মন্ত্রণালয়ের মতো দেশটির অর্থমন্ত্রীর পদেও পরিবর্তন আসেনি। নতুন সরকারেও অর্থ মন্ত্রণালয় সামলাবেন নির্মলা সীতারমণ।

জোট শরিক হিসেবে বিহারের লোক জনশক্তি দলের (রাম বিলাস) প্রেসিডেন্ট চিরাগ পাসওয়ান পেয়েছেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

অভিনেতা থেকে রাজনীতিতে আসা চিরাগ পাসওয়ান (৪১) এবারই প্রথম ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন।

আরেক জোট শরিক বিহারের হিন্দুস্তান আওয়ামী মোর্চা-সেক্যুলার (এইচএম-এস) দলের প্রতিষ্ঠাতা জিতেন রাম মাঞ্জিকে ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয়েছে।

নরেন্দ্র মোদির এবার সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জনতা দল (ইউনাইটেড) জেডি–ইউ নেতা রাজীব রঞ্জন সিংকে (লালন সিং) পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য, পশু পালন ও ডেইরি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সামলাবেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা।

আগের মতো নতুন সরকারেও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলাবেন নীতীন গড়করি। এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন অজয় তামতা ও হর্ষ মালহোত্রা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষি ও কৃষককল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন শিবরাজ সিং চৌহানকে।

পর্যটন ও সংস্কৃতি  মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন গাজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত,

অশ্বিনী বৈষ্ণ পেয়েছেন রেলওয়ে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ইলেকট্রনিকস ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব,

বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলাবেন  কিনজারাপু রামমোহন নাইডু।

 মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়েছেন অন্নপূর্ণা দেবী।

গৃহায়ণ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মনোহর লাল খাট্টারকে।

ভারী শিল্প এবং ইস্পাত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন এইচ ডি কুমারাস্বামী

পীযূষ গয়াল হয়েছেন বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান।

সর্বানন্দ সোনোয়াল সামলাবেন বন্দর, জাহাজ ও নৌপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

সোশ্যাল জাস্টিস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বীরেন্দ্র কুমারকে।

প্রহ্লাদ যোশী পেয়েছেন খাদ্য এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

 ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়েছেন জুয়াল ওরাম।

বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন গিরিরাজ সিং।

টেলিকম মন্ত্রণালয় এবং উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য এম সিন্ধিয়া।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সামলানোর দায়িত্ব পেয়েছেন ভুপেন্দর যাদব।

সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়েছেন কিরেন রিজিজু।

এ ছাড়া হরদীপ সিং পুরি পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসমন্ত্রী, মানসুখ মান্দাভিয়া শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, জি কিষান রেড্ডি কয়লা মন্ত্রণালয় ও খনি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সি আর পাতিল পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, রোববার(৯ জুন) সন্ধ্যার পর নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি। এবার লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া বিজেপিকে গঠন করতে হয়েছে জোট সরকার। শরিক দলগুলোকে মন্ত্রিসভায় পদ দিতে হয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে।

এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন