পার্ক থেকে স্টেডিয়াম, আবার পার্ক!
এমন এক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, যেটা ছিল পার্ক। মানুষ একটু বাতাস খেতে বা একটু ঘুরতে আসতো সেখানে। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৮ টি ম্যাচ আয়োজন হয়ে গেল, এখন আবার সেই স্টেডিয়াম তার আগের রূপে ফিরে যাচ্ছে। নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম নিয়ে আলোচনা কম হয়নি বিশ্বকাপের শুরু থেকেই। শুধু আলোচনা নয়, হয়েছে সমালোচনাও।
অস্থায়ী এই স্টেডিয়ামের জন্য অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেইড থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল ড্রপ-ইন পিচ। জাহাজে করে সেসব পিচ এসেছিল। স্টেডিয়ামটি তৈরি করতে মোট ১০৬ দিন সময় লাগে। এত অল্প সময়ের ব্যবধানে তৈরিকৃত এই গ্রাউন্ডে কেমন হবে বিশ্বকাপের ম্যাচ তা নিয়ে এক প্রশ্ন তো ছিলই।
দর্শকেরা দেখেছে বেশিরভাগ ম্যাচে দলীয় সংগ্রহ খুব বেশি হয়নি। ব্যাটারদের রান করতে বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে। এখন অবশ্য সেই পাট চুকে গেল। স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনে আনা হয়েছে বুলডজার ও অন্যান্য সরঞ্জমাদি। এর স্থাপনাগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে।
ড্রপ ইন পিচগুলোর ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। জানা যায়, নাসাউ কাউন্টি কর্তৃপক্ষ চাইলে পিচগুলো নিজেদের তত্ত্বাবধানে রাখতে পারবে। এই স্টেডিয়াম ভারত-পাকিস্তানের বিশ্বকাপ লড়াইয়ের জন্য আলাদাভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মাত্র ২ সপ্তাহেই শেষ হলো ৩৪ হাজার ধারণক্ষমতার এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সকল কার্যক্রম।
এখানে আবার সাধারণ মানুষ আসবে, কিন্তু তা আর কোনো ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে নয়। বরং হাঁটতে, ঘুরতে, সময় কাটাতে। যেভাবে কিছুদিন আগেও তারা এসেছিল আইজেনহাওয়ার নামক এই পার্কে।