বিশ্বব্যাংক থেকে ৯০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ পেলো বাংলাদেশ
জলবায়ু সহিষ্ণু ও টেকসই প্রবৃদ্ধি, শহরাঞ্চলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন,আর্থিক পরিস্থিতি এবং আর্থিক খাতে নীতিমালা জোরালো করতে বাংলাদেশে দুই প্রকল্পে ঋণ হিসেবে ৯০০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
শনিবার (২২ জুন) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের বোর্ড গেলো ২১ জুন এই ঋণের অনুমোদন দেয়। দুই কিস্তি ঋণের শেষ কিস্তি হিসেবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার দেয়া হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের আর্থিক খাতে সংষ্কারের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়নের গতি বাড়াবে। এ ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনসহ ভবিষ্যতে যেকোনো দুযোর্গ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো বাংলাদেশকে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করবে। নতুন অর্থায়ন বাংলাদেশকে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহায়তা করবে—একটি হচ্ছে আর্থিক খাত ও নগর ব্যবস্থাপনা এবং অন্যটি উচ্চ মধ্যম-আয়ের দেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, নতুন এই কর্মসূচি বাণিজ্যিক কর থেকে ভোক্তা ও আয়করের দিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সহায়ক হবে। এতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে প্রতিযোগিতা বাড়াতে ও প্রস্তুতি নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বার্নার্ড হ্যাভেন বলেন, যারা আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে আছেন, অর্থনীতিতে তাদের প্রবেশ সহজবোধ্য করতে এবং বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো ও কার্যক্রর অর্থনৈতিক খাত গুরুত্বপূর্ণ। আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ একটি নতুন আইনি কাঠামো নিয়েছে এবং বাহ্যিক ভারসাম্যহীনতা দূর করতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংস্কারেও জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আই/এ