৯ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়া সেই সেতুতে ছিলো সতর্কীকরণ নোটিশ
বরগুনার আমতলীতে নয়জনের প্রাণ কেড়ে নেয়া সেই সেতুতে ছিলো সতর্কীকরণ নোটিশ। ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে বিএনপি সরকারের আমলে নির্মীত এ সেতুটি পায়ে হেঁটে পার হবার জন্য নির্মান করা হয়েছিল। আর পায়ে হাঁটার এই লোহার সেতুতে নির্দেশনা না মেনে মাইক্রেবাস চলার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২২ জুন) বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরগুনার আমতলী উপজেলার প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এ প্রকৌশলী জানান, এই লোহার সেতুটি ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বিএনপির জোট সরকারের আমলে নির্মিত হয়েছিল। প্রকল্পটির পরিচালক ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য সেতুটি নির্মাণ করা হয়। প্রায় বিশ বছর আগে নির্মিত সেতুটিতে চলাচলে সতর্কতা নোটিশ টাঙানো ছিল। সেটি উপেক্ষা করার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে দুর্ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া মাহবুব খান বলেন, ‘শুক্রবার তাঁর ভাগ্নি হুমায়রা বেগমের বাড়ি হলদিয়া ইউনিয়নের গুরুদল গ্রামে যান। সেখান থেকে একটি হাইএস মাইক্রোযোগে আজ দুপুর ১টার দিকে ভাগ্নি জামাইয়ের বাড়ির অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য রওয়ানা করেন। দুপুর দেড়টার দিকে হলদিয়া বাজার সংলগ্ন একটি লোহার সেতু পার হওয়ার সময় মাইক্রোটি মাঝ বরাবর আসার পর আকস্মিক সেতুটি ভেঙে যায়। এরপর তিনি আর কিছুই বলতে পারেন না। জ্ঞান ফিরে তিনি দেখেন হাসপাতালে।
উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার পর খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা ফায়ার সার্ভিস পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজে অংশ নেন।
আই/এ