আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৭
রাজশাহীর বাঘায় আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (২২ জুন) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাঘা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম।
অন্য গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, মারুফ হোসেন, তরঙ্গ আলী, শাজামাল লিটন, নাসির উদ্দিন, মতিউর রহমান, গোলাম মোস্তফা।
ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার পর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদি হয়ে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামী করা হয় ২০০ জনকে। মামলা দায়েরের পর রাতে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় চেয়ারম্যান মেরাজসহ ৭ জনকে। গ্রেপ্তারের পর রোববার বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গেলো শনিবার সকাল ১০টার দিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঘা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু এবং বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। এছাড়াও সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে পুলিশ ফাঁকা টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। পরে রাতেই এক পক্ষ থানায় মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকেই মেয়র আক্কাস ও উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু সহ তাদের অনুসারী নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার আতংকে রয়েছে।