আন্তর্জাতিক

‘হোক যুদ্ধবিরতির চুক্তি, তারপরও হামাসের সঙ্গে লড়াই চলবে’

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও যুদ্ধ চলবে। এমনকি তিনি এমন কোনো চুক্তিতে সম্মত না হওয়ার কথাও জানিয়েছেন যা গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের অবসান ঘটায়। বললেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

সোমবার (২৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি একটি ‘আংশিক’ চুক্তির জন্য উন্মুক্ত যা গাজায় এখনও আটক থাকা কিছু বন্দিকে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে, এমনকি সবাইকে না হলেও।

তবে তিনি পুনর্ব্যক্ত করেছেন, তিনি এমন কোনো চুক্তিতে সম্মত হবেন না যা গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের অবসান ঘটায়। যদিও ইসরায়েলি প্রস্তাব এই আক্রমণাত্মক অভিযান শেষ করার পথে এগিয়ে যাবে বলে আগেই দাবি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

রোববার (২৩ জুন) ইসরায়েলি মিডিয়া আউটলেট চ্যানেল ১৪-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘লক্ষ্য হচ্ছে অপহৃতদের ফিরিয়ে আনা এবং গাজায় হামাস সরকারকে উৎখাত করা।’

তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে ইসরায়েলের ‘তীব্র’ সামরিক আক্রমণ প্রায় শেষ হয়েছে। তার ভাষায়, ‘হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের তীব্র পর্যায় শেষ হতে চলেছে। এর মানে এই নয় যে, যুদ্ধ শেষ হতে চলেছে, তবে রাফাতে যুদ্ধের তীব্র পর্যায় শেষ হতে চলেছে।’

নেতানিয়াহু বলেছেন, শিগগিরই লেবাননের উত্তর সীমান্তে সেনা মোতায়েন করা হবে কিন্তু সেটা ‘প্রতিরক্ষামূলক উদ্দেশ্যে’।

চ্যানেল ১৪-কে তিনি বলেন, ‘সংঘাতের তীব্র পর্যায়টি শেষ হওয়ার পরে, আমাদের বাহিনীর কিছু অংশ উত্তর দিকে সরানোর সম্ভাবনা আছে। এবং আমরা এটি করব। প্রথমত, এর উদ্দেশ্য প্রতিরক্ষামূলক এবং দ্বিতীয়ত, বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেয়া আমাদের বাসিন্দাদের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা।’

নেতানিয়াহু বলেন, ‘যদি আমরা পারি আমরা কূটনৈতিকভাবে এটি করব। যদি না হয়, আমরা এটি অন্যভাবে করব। তবে আমরা আমাদের বাসিন্দাদের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসব।’

মূলত গেলো ৭ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রত্যেক দিন ইসরায়েলি সামরিক চৌকি ও ভূখণ্ডে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও তাদের মিত্ররা।

ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত এলাকায় এবারের এই সংঘাত ২০০৬ সালের ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এর ফলে উত্তর ইসরায়েল এবং দক্ষিণ লেবাননে হাজার হাজার বেসামরিক লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

কেএস/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন