‘স্ত্রী’র দেহ পুড়িয়ে আসার পর তাকে খুঁজে পেলেন স্বামী!
বাপের বাড়ি যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন গৃহবধূ। কিন্তু চার দিন পরেও স্বামীর কাছে ফেরেননি তিনি। পরে পুলিশের কাছে স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন বৃদ্ধ স্বামী। এরপর অজ্ঞাত মরদেহের সন্ধান পেয়ে শনাক্তকরণের জন্য ডেকে পাঠানো হয় তাকে। পরে এটি নিজের স্ত্রীর দেহ বলে শনাক্ত করে শবদাহের কাজও সম্পন্ন করেন ৬০ বছরের এই বৃদ্ধ। কিন্তু কিছু দিন পর স্ত্রীর খোঁজ পান তিনি। ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাঁশগাও এলাকায় ঘটেছে। বৃদ্ধের নাম রাম সুমের। তার স্ত্রীর নাম ফুলমতী।
পুলিশ জানায়, বাপের বাড়ি যাবেন বলে ১৫ জুন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ফুলমতী। চার দিন কেটে যাওয়ার পরেও আর ফেরেননি তিনি। স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছেন ভেবে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন রাম। ১৯ জুন উরুভা বাজার এলাকা থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রামকে সঙ্গে সঙ্গে খবর দেয়া হয়। দেহ শনাক্তকরণের পর রাম জানিয়েছিলেন, সেই মহিলা তারই স্ত্রী। দেরি না করে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়। রিপোর্টে জানা যায়, গলা টিপে খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে।
শবদাহের কাজ সম্পন্ন হলেও তদন্ত চালিয়ে যেতে থাকে পুলিশ। তদন্তে নেমে ফুলমতীর ফোন ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারে যে, ফুলমতী এখনও জীবিত রয়েছেন। গোরক্ষপুর থেকে ৬শ’ কিলোমিটার দূরে ঝাঁসিতে রয়েছেন তিনি। পুলিশের দাবি, শুভম নামে এক জনের সঙ্গে বার বার ফোনে কথাও হয়েছে ফুলমতীর। সুলতানপুরের বাসিন্দা শুভমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ফুলমতীর ঠিকানা জানতে পারে। শুভমের দেয়া ঠিকানায় গিয়ে ফুলমতীকে উদ্ধার করে পুলিশ। ফুলমতীর সঙ্গে শুভমের কী সম্পর্ক, যে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে তার আসল পরিচয় কী- এ নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
জেএইচ