নির্বাচনে জালিয়াতির মামলায় সু চির ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড
সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গৃহবন্দি থাকা মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি’কে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দেশটির একটি আদালত নির্বাচনে জালিয়াতির মামলায় সু চিকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং এই কারাদণ্ড দেন। থবর রয়র্টাস।
নোবেল বিজয়ী ও মিয়ানমারের কয়েক দশকের সামরিক শাসনের বিরোধিতাকারী সু চিকে গেলো বছরের শুরুর দিকে একটি অভ্যুত্থানের পর থেকে আটক করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাকে ১৭ বছরেরও বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। যদিও তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
আদালত বলছেন, সু চি ২০২০ সালের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতি করেছেন। তার ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) আইনসভা সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে জিতেছিল। সামরিক বাহিনীর দ্বারা গঠিত একটি দলকে পরাজিত করে তার দল। ওই নির্বাচনে সু চি কারচুপি করেছেন বলে শুক্রবার রায় দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ৭৬ বছর বয়সী অং সান সু চির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে প্রায় এক ডজনের বেশি মামলা দায়ের করেছে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী দেশটির জান্তা সরকার। এর মধ্যে তার বিরুদ্ধে ১৮টি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। রাজধানী নেইপিদোর জান্তানিয়ন্ত্রিত আদালতেই সেসব মামলার বিচার চলছে।
সু চির পাশাপাশি মিয়ানমারের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং সহ-আসামি উইন মিন্টকেও একই সাজা দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। বন্দি করা হয় গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে।