আন্তর্জাতিক

ঋষি সুনাকের ভরাডুবির আভাস

যুক্তরাজ্যে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। লাখ লাখ ব্রিটিশ ভোটার তাদের পরবর্তী সরকার বেছে নিতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। অবশ্য এবারের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টির (টোরি) ভরাডুবি হতে চলেছে বলেই আভাস দেয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রে ৪ কোটি ৬০ লাখ ব্রিটিশ ভোটার ভোট দিচ্ছেন। রাত ১০টা পর্যন্ত তারা ভোট দিতে পারবেন। এর পরপরই বুথ ফেরত জরিপের ফল আসতে শুরু করবে। তখন ভোটের ফলাফল নিয়ে একটি ধারণা পাওয়া গেলেও চূড়ান্ত ফল জানা যাবে স্থানীয় সময় শুক্রবার (০৫ জুলাই) মধ্যরাতে।

ইতোমধ্যে এবারের নির্বাচনের মূল দুই প্রতিদ্বন্বী ভোট দিয়েছেন। তারা দুজনই সস্ত্রীক ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন। ৪৪ বছর বয়সী সুনাক তার স্ত্রী অক্ষতা মূর্তিকে সঙ্গে নিয়ে উত্তর ইংল্যান্ডের রিচমন্ডের নির্বাচনী এলাকায় ভোট দিয়েছেন। অন্যদিকে কেয়ার স্টারমার উত্তর লন্ডন নির্বাচনী এলাকায় তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দেন।

বিভিন্ন জনমত জরিপের বরাতে রয়টার্স বলছে, ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকলেও এবার কনজারভেটিভ পার্টিকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসবে কেয়ার স্টারমারের বিরোধী দল লেবার পার্টি। আবার অনেক ভোটার এখন দেশে একটা পরিবর্তন চাইছেন। কারণ এই ১৪ বছরে কনজারভেটিভ পার্টির ভেতরে তারা অনেক অন্তর্দ্বন্দ্ব ও অশান্তি দেখেছেন। মাত্র ১৪ বছরে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে পাঁচবার পরিবর্তন এসেছে।

ভোটারদের এমন মনোভাবের ওপর ভর করে নিরঙ্কুশ জয় নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারেন ৬১ বছর বছর বয়সী স্টারমার। লেবার পার্টির এই প্রধান একজন সাবেক মানবাধিকার আইনজীবী।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ভোটারদের উদ্দেশে স্টারমার বলেন, আজ ব্রিটেন একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে পারে। আমরা কনজারভেটিভ পার্টির অধীনে আরও পাঁচ বছর থাকতে পারব না। তবে লেবার পার্টিকে ভোট দিলেই এই পরিবর্তন আসবে।

অন্যদিকে পঞ্চম বারের মতো নির্বাচনে জিতে আবারও ক্ষমতায় আসার দাবি এক প্রকার ছেড়েই দিয়েছেন সুনাক। তার পরিবর্তে তিনি ভোটারদেরকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী লেবার পার্টি ক্ষমতায় গেলে কী বিপদ হতে পারে, সে সম্পর্কে সতর্ক করছেন।

সুনাক বলেন, লেবার পার্টি ক্ষমতায় গেলে দেশের কর বৃদ্ধি করবে, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার বাধাপ্রাপ্ত হবে। একই সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্রিটেনকে আরও দুর্বল করে দেবে। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে লেবার পার্টি।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন