আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

দুই ভাগে উদ্বোধন হবে বঙ্গবন্ধু টানেল

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে নির্মাণ করা বঙ্গবন্ধু টানেলের একটি টিউব অক্টোবরে এবং আরেকটি টিউব নভেম্বরে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে এ তথ্য জানান তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, কালনার মধুমতি সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে এ মাসেই। এটি উদ্বোধন করা হবে অক্টোবরে, প্রধানমন্ত্রী যখনই সময় দেবেন, তখনই এটার উদ্বোধন হবে।

তিনি বলেন, মেট্রোরেলের ৯৪ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করা হবে ডিসেম্বরে।  আর মতিঝিল পর্যন্ত হবে আগামী বছরের ডিসেম্বরের আগেই। এছাড়াও ৮৭টি ছোট, বড় ও মাঝারি প্রকল্প উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকায় ৬টি মেট্রো লাইন চালু হবে। এর ফলে যানজট নিয়ন্ত্রণে আসবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাস এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

উল্লেখ্য, চীনের সাংহাইয়ের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ হিসেবে চট্টগ্রামকে গড়ে তুলতে কর্ণফুলীর তলদেশে এই টানেল নির্মাণ। মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৪০ কিলোমিটার হলেও এর সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার।

টানেলের দুই পাশের ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার হাইওয়েকে যুক্ত করবে। তা ছাড়া টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে ৭২৭ মিটার দৈর্ঘ্যর পর একটি উড়াল সেতুও রয়েছে।

টানেলে ১০ দশমিক ৮ মিটার প্রস্থের প্রতিটি টিউবের দূরত্ব অন্তত ১১ মিটার। দুই টিউবে দুটি করে মোট চারটি লেনে চলাচল করবে যানবাহন। এসব টিউবের সর্বোচ্চ গভীরতা ৩৬ মিটার। টিউবের ভেতরের উচ্চতা ১৬ ফুট।

এসি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন