নিঃশব্দেই চলে গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী স্মৃতি বিশ্বাস
বর্ষীয়ান অভিনেত্রী স্মৃতিরেখা বিশ্বাস আর নেই। বাংলা ও হিন্দি ছবির দুনিয়ায় তার পরিচিতি স্মৃতি বিশ্বাস নারাং হিসেবে। ৩ জুলাই নাসিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। বৃহস্পতিবার সকালে মহারাষ্ট্রেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
ছোটবেলা থেকেই রুপোলি পর্দার সঙ্গে তার যোগাযোগ। কাজ করেছেন গুরু দত্ত, ভি শান্তরাম, মৃণাল সেন, বিমল রায়, বিআর চোপড়া এবং রাজ কপূরের মতো পরিচালকের ছবিতে। পাশাপাশি উত্তমকুমার, বিশ্বজিৎ, কিশোরকুমার থেকে দেব আনন্দ পর্যন্ত তাবড় নায়কের সঙ্গে পর্দায় দেখা গিয়েছে তাকে।
অবিভক্ত বাংলার খুলনা জেলায় ১৯২৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তার জন্ম। শিশুশিল্পী হিসেবে ত্রিশের দশকে তার আত্মপ্রকাশ। রুপোলি পর্দায় কাজ করেছেন ষাটের দশক পর্যন্ত। ১৯৪৪ সালে ‘সন্ধ্যা’ ছবিতে প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেত্রী হিসাবে তার কাজ শুরু। সেই বছরেই তিনি অভিনয় করেন বিমল রায়ের ‘উদয়ের পথে’ ছবিতে। ১৯৫০ সালে উত্তম কুমার অভিনীত ‘মর্যাদা’ ছবিতেও অভিনয় করেন স্মৃতি। ১৯৫৯ সালে তাকে দেখা যায় ‘নীল আকাশের নীচে’ ছবিতে। এটিই বাংলায় তার শেষ ছবি।
১৯৬১ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম হিন্দি ছায়াছবি ‘মডার্ন গার্ল’। এর পর তাকে দেখা গিয়েছে, ‘নেক দিল’, ‘অপরাজিতা’র মতো ছবিতে তার দেখা মিলেছে। এই সময়ই তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পরিচালক-প্রযোজক এসডি নারাং-এর সঙ্গে। তাদের দুই পুত্র রাজীব ও সত্যজিৎ রয়েছে।
শেষবয়সে দারিদ্র্যের সম্মুখীন হয়ে বেশ কষ্টেই কাটাতে হয়েছে স্বর্ণযুগের এই অভিনেত্রীকে। গুরু দত্ত, রাজ কাপুর, বিমল রায়, কিশোর কুমারদের মতো তাবড় ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে কাজ করা অভিনেত্রীকে নাসিকে থাকতে হত এক কামরার ছোট ফ্ল্যাটে। কে বলবে, পঞ্চাশ-ষাটের দশকে তার গ্ল্যামারোচিত উপস্থিতিতে ঘায়েল হতেন অনেক ডাকসাইটে নামই!
জেএইচ