কোটা সংস্কারের দাবিতে রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ
কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে পদযাত্রা ও ছাত্রসমাবেশ করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। তবে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
দাবি আদায়ে শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে নগরীর মডার্ন মোড়ে রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্রসমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল থেকে একটি পদযাত্রা বের করা হয়। ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মডার্ন মোড়ে রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমে বলেন, এই বৈষম্যমূলক কোটা প্রথা মানি না। কোটার কারণে মেধাবীরা সঠিক মূল্যায়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কোনো মেধাবী শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ৮০ পেয়েও চাকরি পাবে না, আর কোটাধারীরা সহজেই চাকরি পাবে, এই বৈষম্য সংবিধান পরিপন্থি।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে-মেয়ে পর্যন্ত কোটা ঠিক ছিল। নাতি-নাতনি বিষয়টা অযৌক্তিক। এক শতাংশ প্রতিবন্ধী বাদে সব কোটা বাতিল করতে হবে। কোটা বহাল থাকলে দেশের মেধাবীরা দেশে চাকরি না পেয়ে বিদেশে পাড়ি জমাবে। দেশে সরকারি চাকরি করার আগ্রহও হারাবে। দেশ আরও পিছিয়ে পড়বে। এ সময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা প্রথা বাতিল চাই, বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘চাকরিতে কোটা, মানি না, মানবো না’, ‘শেখ হাসিনার বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, ‘শেখ মুজিবের বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, ‘কোটা পদ্ধতি নিপাত যাক মেধাবীরা মুক্তি পাক’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
ঢাকাগামী একটি পরিবহনে থাকা রেজাউল হক নামের এক যাত্রী বলেন, আন্দোলনকারীরা রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলে দিয়ে কোনো আন্দোলন সফল হতে পারে না।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, আন্দোলনকারীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করেছিলেন কিছু সময়ের জন্য। পরে তারা আবার রাস্তা ছেড়ে চলে গেছেন।
এএম/