অবৈধ সম্পদের পাহাড় ইউএনওর অফিস সহকারীর, দুদকের মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মিহির কুমার ঘোষ ও তার স্ত্রী শিল্পী রানী ঘোষের নামে ব্যক্তিগত সম্পদের তথ্য গোপন করা এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ খুজে পেয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের নামে মামলা করেছে দুদুক ।
গেলো বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে দুদকের সমন্বিত কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ে উপ সহকারী পরিচালক মো. ইমরান খান অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় , ২০১৯ সালে দুদক অনুসন্ধান শেষে শিল্পী রানী ঘোষ ও তার স্বামী মিহির কুমার ঘোষের বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য পান। পরে ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট শিল্পী রানীর কাছে সম্পদের তথ্য চায় দুদক। পরবর্তীতে শিল্পী রানী সম্পদ বিবরণী ফরম পূরণ করে একই বছর ৯ সেপ্টেম্বর দুদকের কুমিল্লা কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেন ।
শিল্পী রানী দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে বলেন, তার ৩৬ লাখ ৬৬ হাজার ৭৮২ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৪১ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। কিন্তু সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার নামে ৩৯ লাখ ৫৬ হাজার ২৬ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৪১টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পায় দুদক।
দুদক জানায়, গেলো ২০১০-১১ সালে শিল্পী রানীর আয়কর নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ওই আয়বর্ষে ব্যবসা থেকে তিনি আয় দেখান ৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। কিন্তু সেসময় ব্যবসার পুঁজি দেখান মাত্র ২ হাজার টাকা। এতে বুঝা যায় যে, আয়কর নথি খোলার পূর্বে তার নামে কোন প্রকার ব্যবসা ছিল না। তার স্বামী মিহির কুমার অবৈধ পন্থায় উপার্জিত অর্থ দিয়ে ২০১০-১১ সালে ৫ তলাবিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ করেন।
সম্পদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে স্বামীকে অবৈধভাবে সহযোগিতার অভিযোগে শিল্পী রানীর নামে মামলা করে দুদক।
এছাড়া মিহির কুমার ঘোষ দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা হিসাব তথ্য প্রদানসহ ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৭২২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করায় দুদক আইনে তাঁর বিরুদ্ধেও মামলা করে সংস্থাটি।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত মিহির বর্তমানে জেলার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের একই পদে কর্মরত রয়েছেন।
জেড/এস