কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থিতাবস্থা থাকবে : আপিল বিভাগ
সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ে স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ।
আজ বুধবার (১০ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আগামী চার সপ্তাহ পর বিষয়টি পরবর্তী শুনানি করার জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিন একসঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর করা আবেদনের ওপর শুনানি হয়। আজ সকাল ১০টায় দুটি আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও পিছিয়ে সাড়ে ১১টায় ধার্য করা হয়। পরে শুনানি শেষে আপিল বিভাগ স্থিতাবস্তার আদেশ দেন।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আপিল বিভাগ স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলেছেন। অর্থাৎ যেমন আছে, তেমন থাকবে। কোটা বাতিলসংক্রান্ত ২০১৮ সালের পরিপত্রের ভিত্তিতে যেসব সার্কুলার দেয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে কোটা থাকছে না।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত কোটাপদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন চাকরিপ্রত্যাশী ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট।
জেএইচ