১৯৯৪ সালে বানিয়াচংয়ে কিশোর হত্যা : হাইকোর্টে সব আসামি খালাস
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ১৯৯৪ সালে এক কিশোরকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স খারিজ ও আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম আশরাফুল হক জর্জ।
তিনি জানান, পাঁচ আসামিকে বিচারিক আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আহাদ নামের একজন মারা যান। আজ হাইকোর্ট বিভাগ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করবে।
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ১৯৯৪ সালের ১৩ মে বানিয়াচং উপজেলার আগুয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ছেলে জিয়াউল হককে (১৩) হত্যা করা হয়। পরদিন পঁচাসিংদা গ্রাম থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
ওই ঘটনায় জিয়ার মা রূপচান বিবি মামলা করলে পুলিশ তদন্ত শেষে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। তাদের মধ্যে এক আসামি বিচার চলাকালীন মারা যান।
এরপর বিচার শেষে ২০১৬ সালের ৯ মে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাফরোজা পারভীন পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
আসামিরা হলেন- বানিয়াচং উপজেলার টুপিয়াজুরি গ্রামের আলী হায়দার, একই গ্রামের নূর মিয়ার ছেলে আব্দুল আহাদ, আগুয়া গ্রামের খুরশেদ আলীর ছেলে রেনু মিয়া, আগুয়া গ্রামের শাহিন মিয়ার ছেলে হাবিব মিয়া ও আব্দুর রেজ্জাকের ছেলে রঞ্জু মিয়া।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।