আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

সুদের হার বাড়ালে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে

আমাদের ৯/৬ পারসেন্ট ইন্টারেস্ট রেট ভালোভাবেই চলছে।  বাংলাদেশের মতো দেশে ইন্টারেস্ট রেট বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন কাজ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের ফিসক্যাল ও মনিটরিং এই দুইটিকে অ্যাপ্লাই করে কাজ করা হচ্ছে। বললেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভার্চুয়ালি অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সব দেশের ব্যাংক ঋণে সুদের হার বাড়াচ্ছে। ইন্টারেস্ট রেট নির্ভর করে ডিমান্ড ও সাপ্লাইয়ের উপর। আমরা আস্তে আস্তে মার্কেট বেজ লেনদেনে যাবো। এতোদিন যেভাবে প্রাইস ঠিক করে দিতাম সেভাবেই যাবো। আমরা অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশগুলো যেভাবে কারেন্সিকে ডিল করে সেভাবে চিন্তা করবো। তারা যেভাবে ঠিক করে দেয় সেভাবে ঠিক করে দেবো।

তিনি বলেন, আমাদের ফরেন রিজার্ভ কমছে। তবে আমাদের অবস্থান আগের চেয়ে ভালো। আমাদের এক্সপোর্ট বাড়ছে, ইম্পোর্ট কমছে। পাশাপাশি রেমিট্যান্স অনেক দ্রুত বাড়ছে। এক বছরে রেমিট্যান্স অর্জন করেছিলাম ২৪ বিলিয়ন ডলার, মাসে ২ বিলিয়ন ডলার করে। এখন কিন্তু মাসে ২ বিলিয়নের উপর চলে গেছে। 

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের ডলারের জন্য কাউকে পেমেন্ট করতে হচ্ছে না। পেমেন্ট করতে হচ্ছে লোকাল যারা রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে, এখানে কোনো ডলার এক্সচেঞ্জ হয় না। আমরা মনে করি, যে পরিমাণ রেমিট্যান্সের মাধ্যমে ডলার পাচ্ছি সে হিসেবে ৪৮ বিলিয়ন ডলার অর্জন করতে বেশিদিন সময় লাগবে না।

তিনি বলেন, ‘এক দেশের মুদ্রা আরেক দেশে গ্রহণ করতে হলে ডলার ব্যবহার করতে হয়। আমাদের যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে কারেন্সি কিছু অফ করে রাশিয়াকে একসেপ্ট করানো। তারা সেটি গ্রহণ করলে আমরা সেটি কাজে লাগাতে পারবো।

তাসনিয়া রহমান

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন