আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

একেবারে শূন্য হাতে ফিরেছি, এটা বলতে পারবো না : প্রধানমন্ত্রী

এবারের ভারত সফরে বাংলাদেশ কী পেল- এমন প্রশ্ন আপেক্ষিক, বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে ভারতের কাছ থেকে সব বিষয়েই সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ যাই করে ভারতের সঙ্গে সমান অধিকার ঠিক রেখেই করে। বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের সব দল-মত এক থাকে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সদ্য-সমাপ্ত ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র হিসেবে ভারত সব বিষয়েই সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এ সফরেও আমরা একেবারে শূন্য হাতে ফিরেছি, এটা বলতে পারবো না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র যার সব দিকে ভারত। একপাশে ছোট্ট একটুখানি মিয়ানমার। বাকি সীমান্তজুড়ে বঙ্গোপসাগর, এটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো- বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের সব দল-মত এক থাকে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের সফরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তি আছে। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর রেল ও সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। একে একে সেগুলো তো সব চালু হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি কোভিড মহামারির প্রেক্ষিতে দীর্ঘ তিন বছর বিরতির পর আমার এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে রেল ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এখন একে একে সব উন্মুক্ত হচ্ছে। এ ছাড়া যৌথ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে একমত হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আসবে। ফলে তেল পরিবহণের খরচ অনেকটা কমে যাবে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারত গেলেন, তখন তারা (ভারত) ভালো আপ্যায়ন করেছেন। যখন তিনি সফর শেষে দেশে ফিরলেন সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি (খালেদা জিয়া) বললেন ভারতে সঙ্গে গঙ্গার পানি নিয়ে কথা বলতে ভুলেই গেছেন। গঙ্গার পানিতে যে দেশের মানুষের অধিকার রয়েছে, তা বলতে তিনি ভুলে গেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ভুলি নাই। আমরা ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি, তখন ভারতের সঙ্গে পানি বন্টনের চুক্তি করেছি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন