মিরপুর ১০ নম্বরে চলছে সংঘর্ষ, পুলিশ বক্সে আগুন
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা ও গুলির প্রতিবাদে সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষ হচ্ছে। দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর দখলে নিয়েছে আন্দোলনকারীরা। থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল। এরই মধ্যে সেখানকার পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা লিমা খানম বিষয়টি গণমাধ্যমে জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে পুলিশ বক্সের আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। আগুন ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে। আগুনের ধোঁয়া কুণ্ডলি পাকিয়ে উপরের দিকে উঠছে। উপরে মেট্রোরেলের লাইনও ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে।
গোলচত্বর ও আশপাশের এলাকায় সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সকাল থেকেই দফায় দফায় পুলিশের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছে।
বেলা একটার দিকে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা গোলচত্বরে অবস্থান নেন। আর আন্দোলনকারীদের অবস্থান ছিল গোলচত্বর থেকে কাজীপাড়ার দিকে আসতে আল-হেলাল হাসপাতালের সামনে। আন্দোলনকারীদের আরেকাংশের অবস্থান ছিল মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামের দিকে। বেলা একটার দিকে প্রথম আলোর প্রতিবেদক ঘটনাস্থল থেকে বলেন, পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ছে। এর আগে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়েছে।
দুপুর সোয়া ১২টার পরে মিরপুরে ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় আন্দোলনকারীরা ধাওয়া দিয়ে পুলিশকে মিরপুর থানার দিকে নিয়ে যায়। আবার পুলিশ ধাওয়া দিয়ে আন্দোলনকারীদের মিরপুর ১০ নম্বরের দিকে নিয়ে যায়।
এর আগে ১০ নম্বর গোলচত্বরের পশ্চিম পাশে পুলিশকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীদের ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। জবাবে পুলিশও সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।মিরপুর ও এর আশপাশের এলাকায় সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
এদিকে আজ সকাল ১১টার দিকে মিরপুর ১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। ওই সময় পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দিয়ে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার ভেতরে পাঠিয়ে দেয়। আন্দোলনকারীরা জানান, সেখানে পুলিশ ও যুবলীগের সদস্যরা তাঁদের পিটিয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় পুলিশ কাউকে ধাওয়া করেনি।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার ছুটির দিনেও ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্র বিক্ষোভ, সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ, গায়েবানা জানাজা, কফিন মিছিল এবং দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।