কৃষি মন্ত্রণালয় রাজি হলেই ডিম আমদানি করবো: বাণিজ্যমন্ত্রী
ভারত থেকে ডিম আমদানি করে কম মূল্যে ভোক্তাদের দেয়ার পক্ষে আমি। আজই কৃষি মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন পণ্যের দাম নির্ধারণ বিষয়ে কাগজ পাঠাব। তবে কৃষকদের স্বার্থের বিষয়টিও দেখতে হবে। বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ‘মিট দ্য ওকাব উইথ টিপু মুনশি’ শীর্ষক আলোচনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় পজিটিভ হলে ডিম আমদানি করা হবে। দাম নির্ধারণ হবে আলোচনার মাধ্যমে।
তিনি বলেন, আমাদেরকে ভোক্তা ও কৃষক উভয়কেই দেখতে হবে। যথেষ্ট হিমাগার না থাকায় অনেক পেঁয়াজ পঁচে যায়। ফলে সেপ্টেম্বরে আমাদের পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। পেঁয়াজ উৎপাদন করার চিন্তা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা যে যাবে না, তা এখন বুঝা যাচ্ছে। যদিও প্রথমে তাদের মানবিক কারণে জায়গা দেয়া হয়েছিল। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার মাধ্যমেই মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে। মিয়ানমারে কিছু গার্মেন্টস বন্ধ হওয়ায় আমাদের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
টিপু মুনশি আরও বলেন, ডিসেম্বর নাগাদ দুই পক্ষ বসে ভারতের সঙ্গে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সেপা) চুক্তির বিষয়ে সমাধান করা হবে। ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে পিটিএ-এফটিএ চুক্তি করার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, মানবাধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ থাকলেও তা আমাদের বাণিজ্যে প্রভাব ফেলবে না। গতবারের তুলনায় এবার ২০ শতাংশ বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ডলারের মূল্যের বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা চাই রেডিমেড গার্মেন্টস তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখুক। পাশাপাশি আইসিটি ও চামড়া খাতে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছি। ১০টি আইটেমের উৎপাদন বাড়াতে পারলে আমাদের রপ্তানি বাড়ব। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি এটি বাড়াতে।
তাসনিয়া রহমান