ডিবি হেফাজতে থাকা তিন সমন্বয়কের দেখা পেলেন না শিক্ষকরা
নিরাপত্তার স্বার্থে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। তাদের সঙ্গে দেখা করতে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েও ফিরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষার পরে প্রতিনিধি দলটি ফিরে যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ওই তিন শিক্ষার্থীকে হাসপাতাল থেকে কেন এখানে আনা হলো সেই খবর নিতেই তারা এসেছিলেন। তাদের আসার খবর ডিবি প্রধানকে দেয়া হলেও তিনি শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করেননি।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, ছাত্রদের নিরাপত্তার কথা বলে তুলে আনা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে ডিবি হেফাজতে কেন? পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিল না কেন? একজন মানুষের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হচ্ছে তার পরিবার। নিরাপত্তা যদি দিতে হয় তাহলে তার বাসার আশপাশে নিরাপত্তা দেয়া হোক, তার পরিবারকে নিরাপত্তা দেয়া হোক।
ঢাবি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, তারা ১২ জন শিক্ষক ডিবি অফিসে এসেছেন। অথচ ডিবি প্রধানের দেখা করার সময় হলো না! সেটা তিনি ভদ্রভাবে শিক্ষকদের জানাতেও পারলেন না, এটা ঠিক হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক থেকে ১২ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিমউদ্দীন খান, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজলী শেহরীন ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অরণি সেমন্তী খান, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষক অলিউর সান ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার শিক্ষক তামারা মাকসুদ।
এদিকে আজ রাতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অপর দুই সমন্বয়ক সারজিস ও হাসনাতকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. জুনায়েদ আলম সরকার।
উল্লেখ্য, গেলো ২৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে হাসপাতাল থেকে নিজেদের হেফাজতে নেয় ডিবি।
আই/এ