সহকর্মীর বাইক চুরির দায়ে কারাগারে পুলিশ সদস্য
কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনসে কর্মরত এক পুলিশ সদস্যের বাইক চুরির মামলায় পুলিশ সদস্য মোস্তফা ও আসামি রাসেলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গেলো মার্চে দায়েরকৃত মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে, আদালত তাদের কারাগারে প্রেরন করেন।
রোববার (২৮ জুলাই) কুষ্টিয়া আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কেরামত আলী আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনসে কর্মরত কনস্টেবল আশানুর রহমান গেলো ৮ মার্চ দুপুরে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস সভাকক্ষের পাশের মোটরসাইকেল গ্যারেজে মোটরসাইকেল তালাবন্ধ করে রেখে পুলিশ ব্যারাকে বিশ্রাম করার জন্য যান। পরের দিন ৯ মার্চ বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে গ্যারেজে গিয়ে দেখেন তার মোটরসাইকেল নেই। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেও পাওয়া যায়নি।
এর প্রেক্ষিতে ২৩ মার্চ জিডি করলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অলোক রায় সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষন এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল ও জড়িত আসামিদের শনাক্ত করেন। পরে কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আসামি ইব্রাহিম খলিল ও রবিউল আলম সোহাগকে গ্রেপ্তার করেন। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার সিএনজি স্ট্যান্ডের যাত্রী ছাউনির ভেতর থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্য কুষ্টিয়া মডেল থানায় এজাহার দায়ের করলে গেলো ২৫ মার্চ পেনাল কোডের ৩৮০ ও ৪১১ ধারায় মামলা রজু করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ইব্রাহিম খলিল (২৬),রবিউল আলম সোহাগ (৩০), রাসেল হোসেন (২৮) এবং তিতাস হোসেন (২৭)।
এ মামলার তিন নম্বর আসামি জিল্লাল হোসেন ও চার নম্বর আসামি মোস্তফা কামাল পুলিশ সদস্য। জিল্লাল হোসেন (বিপি-৯৬১৬১৯০৬৯৯) নড়াইলের নড়াগাতী উপজেলার বাঐসোনা গ্রামের খলিলুর রহমান মোল্লার ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনসে সাময়িক বরখাস্ত আছেন। মোস্তফা কামাল (২৮) বিপি-৯৬১৬১৯১৬৯২ কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ধামতি গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি সর্বশেষ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানায় কর্মরত ছিলেন।
আই/এ